সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব আদালত সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি চলবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরে আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগে রিট ও দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি-সংক্রান্ত একটি করে মোট তিনটি বেঞ্চে হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে অতীব জরুরি বিষয়ে শুনানি করবেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেবেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এ সময় পর্যন্ত বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ছাড়া আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতও সীমিত পরিসরে চলবে।
নিম্ন আদালত নিয়ে আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালসমূহের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালাতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলার জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি ও ফৌজদারি এবং মহানগর দায়রা জজ ফৌজদারি মামলা প্রয়োজন অনুযায়ী তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জেলা বা মহানগরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংঘাতে জড়িত শিশুকে ওই সময়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপন করা যাবে।
নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্ট, ১৮৮১-সহ যেসব আইনে মামলা অথবা আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে, সেসব আইনের আওতায় মামলা বা আপিল শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাত দিনের মধ্যে তামাদির (যেকোনো আবেদনের সময়সীমা) মেয়াদ অক্ষুণ্ন গণ্য করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে অধস্তন আদালতে কর্মরত সব বিচারক এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণে না আসার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে।