সারা দেশে ১৪ দিনের শাটডাউন শুরুর দ্বিতীয় দিন সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। যাত্রী কিছুটা বেশি থাকলেও যানবাহনের চাপ কমেছে উভয় ঘাটে।
অল্প সংখ্যক যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে শনিবার সকাল থেকে ফেরিতে পদ্মা পারাপার হতে দেখা গেছে। তবে বাংলাবাজার থেকে বেশি যাত্রী ও যানবাহন ঢাকাতে আসছে ফেরি করে।
এ দিকে নৌরুটে লঞ্চ বন্ধ থাকলেও লকডাউন বাস্তবায়নে ঘাট ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের কঠোর নজরদারি ও চেকপোস্ট দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাধিক চেকপোস্ট থাকাতে সড়ক যানবাহনশূন্য হয়ে রয়েছে। তবে কিছু অ্যাম্বুলেন্স চলতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, এ নৌরুটে বর্তমানে ৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে ১৫ থেকে ২০টি ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ি আছে। তবে বাংলাবাজার থেকে যে ফেরিগুলো আসছে সেগুলোতে যাত্রী ও ছোট যানবাহন বেশি দেখা যাচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিএর শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের কর্মকর্তা মো. সোলেমান জানান, লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী বৃহস্পতিবারের পর থেকে লঞ্চ চলেনি। তাই লঞ্চঘাটে যাত্রীও নেই। ঘাটে যেসব যাত্রীরা আসছে তারা ফেরিতে পার হচ্ছেন।
এ দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ থাকলেও এরপর থেকে ফাঁকা হয়ে যায় ঘাট এলাকা। এ ঘাটে শনিবার সকালে কোন যানবাহন ও যাত্রী দেখা যায়নি।
যাত্রী ও যানবাহন দেখা যায়নি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ছবি: নিউজবাংলা
এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় হাতে গোনা কিছু যানবাহন। মূলত শাটডাউন শুরুর আগের রাতে এসব যানবাহন নদী পার হতে ঘাটে এসেছিল।
ঘাটে প্রচুর জ্যাম থাকায় গাড়িগুলো বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে পার হতে পারেনি। তাই ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা গাড়িগুলো পার হতে শুক্রবার দুপুর হয়ে যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ জানান, ঘাটে পর্যাপ্ত ফেরি চালু থাকায় গতকাল দুপুরের পর থেকে ঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। নতুন কোনো গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাটে আসেনি।
পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকাও ফাঁকা। ছবি: নিউজবাংলা
অন্যদিকে যাত্রী ও যানবাহন না থাকায় মাত্র দুটি ফেরি দিয়ে জরুরি কাজে নিয়োজিত পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে।
বিআইডব্লিটিসি সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী ও যানবাহনের চাপের কারণে শাটডাউনের প্রথম দিন সকালে সবগুলো ফেরি চলাচল করেছে। বর্তমানে চাপ কমে যাওয়ায় এ নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে ২টি ফেরি চলাচল করছে।
তবে জরুরি কাজে নিয়োজিত থাকা পরিবহন কম থাকায় দীর্ঘ সময় ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি মাস্টারদের। তাছাড়া জরুরি কাজে নিয়োজিত পরিবহনের সঙ্গে কিছু যাত্রীও পার হতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকা ফাঁকা। ঘাট এলাকায় যানবাহনের কোনো চাপ ও লাইন নেই। সরকারি নিদর্শনা অনুযায়ী শাটডাউনে দুটি ফেরি চলাচল করছে। বাকি ফেরিগুলো উভয় ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।