বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘এখন দেখছি বাংলাদেশকে সবাই পাত্তাটাত্তা দেয়’

  •    
  • ২২ জুলাই, ২০২১ ২০:৫৫

মোমেন বলেন, ‘রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি নরমালি কারও সঙ্গে দেখা করেন না। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমাদের মিশনের লোকজন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। কারণ বিশ্বে এখন আমাদের অবস্থান অনেক শক্তিশালী হয়েছে।’

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বাংলাদেশে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বলেছেন, বাংলাদেশকে এখন বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো যে গুরুত্ব দেয় তার প্রমাণ সম্ভাব্য এই সফর।

বিশ্বের পরাশক্তি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সচরাচর কোনো দেশে যান না, বিশেষত স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাকে বৈঠকে দেখা যায় না।

তবে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে চুক্তির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন বর্তমানে দুই দেশ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হলেই তা সই করতে ঢাকা আসবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সম্প্রতি উজবেকিস্তানের তাসখন্দে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়। এতে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা বিষয়ে দুই মন্ত্রী কথা বলেন। ওই বৈঠকে রুশ মন্ত্রী মোমেনকে জানান, যেকোন প্রয়োজনে, সংকটে বাংলাদেশেরই পাশে থাকবে রাশিয়া।

এই বৈঠক নিয়ে নিউজবাংলাকে মোমেন বলেন, ‘রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি নরমালি কারও সঙ্গে দেখা করেন না। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমাদের মিশনের লোকজন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। কারণ এখন বিশ্বে আমাদের অবস্থান অনেক শক্তিশালী হয়েছে। এটা আমি টের পাই।

‘আগে যখন আমি পিআর ছিলাম তখন বিভিন্ন লোকের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংগ্রহ করতাম। তখন অনেকেই পাত্তা দিত না। এমন কি প্রধানমন্ত্রীর জন্যও। আমার একজন পরিচিত পিআর ছিলেন। তিনি আমায় সহযোগিতা করতেন। ধনী দেশের লোকেরা পাত্তাই দিত না। এখন দেখছি বাংলাদেশকে সবাই পাত্তাটাত্তা দেয়।’

‘রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আলাপ হয়েছে। তিনি তার গল্পটল্প বললেন। বললেন, নতুন অ্যাম্বাসেডার পাঠাচ্ছেন। আমি তার কাছে চাইছিলাম, আপনারা বলছেন, মিয়ানমারের বিষয়ে অ্যাফ্রেড। আপনারা বলেছিলেন যে রোহিঙ্গা ইস্যুটা বাইলেটারেলি হোক। তৃতীয় পক্ষ আসলে আনসারটেনিটি বাড়বে।

‘আপনি বলেছিলেন, মিডেল ইস্টে দেখো। সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনে তৃতীয় পক্ষ আসায় কোন লাভই হয়েনি। আপনাদের কথা মতো তো আমরা বাইলেটারেলি (দ্বিপক্ষীয়) অনেক মিটিংই করলাম। কোন লাভই তো হয়নি। অনেক চেষ্টাই তো করলাম। একজন লোকও তো ফিরিয়ে দিতে পারলাম না। আমরা তো ট্রাইলেটারালও (ত্রি-পক্ষীয় আলোচনা) করলাম।’

মোমেন বলেন, আমি তাকে বললাম, আমি চাই আপনি এই ট্রাইলেটারাল উদ্যোগে অংশ নিন এবং রোহিঙ্গা ফেরাতে ভূমিকা রাখেন। আপনার সঙ্গে তাদের এতো ভালো সম্পর্ক! এই সেদিন ওদের (মিয়ানমার) মিলিটারি চীফ আসলো। আপনারা তাদের জিনিসপত্র দিচ্ছেন! আপনারা বললে ওরা শুনবে।

জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বললেন, আমরা তো বলছি। আবারও বলবো। কিন্তু ট্রাইলেটারাল সম্পর্কে আমি যেটা বলছি, সেটায় তিনি রাজী হননি। কারণ হিসেবে উনি বললেন, এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে হবে। আমি বললাম, আচ্ছা সময় নেন। প্রয়োজনে চীনের সঙ্গেও কথা বলেন। কেননা আপনি ও চীনই তো মিয়ানমারকে শক্ত অবস্থানে রাখছেন। উনি এতে সাদামাটা কোন জবাব দেননি। কেবল বলেছেন, এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে।

‘আমি তাকে বললাম, আপনি ঢাকা আসতে চাইলেন। আসলেন না তো! তিনি বললেন, নানা রকম এগ্রিমেন্ট সাইন হবে। কিন্তু এখনও তো কোন কিছুই রেডি হয়নি। কোন কিছু রেডি না হলে আমি খালি হাতে আসবো কেনো! আমি বললাম, ঠিক আছে, আমরা এইগুলো দুই দেশ মিলে রেডি করি, তারপর আসবেন।’

এরপর তিনি তাদের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথা বললেন। মুজিব শতবর্ষ সম্পর্কে তিনি আমাদের বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া কেবল ১৯৭১ সালই নয়, সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ও থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে।

এ বিভাগের আরো খবর