করোনাভাইরাসের উচ্চগতির সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদের ছুটি শেষে শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ১৪ দিনের শাটডাউনে বন্ধ থাকবে লঞ্চসহ যাত্রীবাহী নৌচলাচল। ফেরি চালু থাকবে কেবল পণ্যবাহী গাড়ির জন্য। যাত্রী উঠতে পারবে না তাতে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জুলাই জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ‘২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। নৌযানের মধ্যে রয়েছে লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ও অন্যান্য।’
অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানের মালিক, মাস্টার, চালক, কর্মচারী, যাত্রীসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২৩ জুলাই সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে সারা দেশেই মানুষের অবাধ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার, যা এবার পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন নামে। তবে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ আরও আগে থেকেই বন্ধ ছিল গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায়।
এই পরিস্থিতিতে এবার ঈদে বাড়ি যাওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে সরকার হঠাৎ করেই ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে। চালু হয় গণপরিবহন।
সে সময় জানিয়ে দেয়া হয়, ২৩ জুলাই থেকে আবার বন্ধ হয়ে যাবে মানুষের চলাচল, বিপণিবিতান, অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এর আগে ২০২০ সালের সাধারণ ছুটি ও গত এপ্রিল থেকে লকডাউন ও ১ জুলাই থেকে শাটডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ না থাকলেও এবার বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়ে দেয়া হয়।
অর্থাৎ ঈদে বাড়ি গেলে উৎসবের পরদিনই ফিরতে হবে, এটা জানিয়ে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ২৭ জুলাই ভোর পর্যন্ত শিথিল থাকবে বিধিনিষেধ। আর সেই গুজবে আস্থা রেখে এখন ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ।
বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী বাস-লঞ্চে টিকিট মিলছে না। মানুষ তিন চাকার ধীরগতির যানবাহনে চেপে কোনো রকমে ঢাকায় আসার চেষ্টা করছেন।