করোনাভাইরাসের উচ্চগতির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদের আমেজ কাটার আগেই শুক্রবার থেকে আবারও ১৪ দিনের জন্য শাটডাউনে যাচ্ছে দেশ। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, এবারের শাটডাউন হবে ‘সবচেয়ে কঠোর’। আর তা বাস্তবায়নে আগের বারের মতো পুলিশের পাশাপাশি দেশজুড়ে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনীকেও।
ঈদ উপলক্ষে চলমান শাটডাউন আটদিনের জন্য শিথিল করে গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেয়া প্রজ্ঞাপনেই অবশ্য বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিউজবাংলাকে আবারও নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি জানান, এবারের লকডাউন হবে অন্য যেকোনো বারের চেয়ে কঠোর।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু অফিস-আদালত এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, রপ্তানিমুখী- সবকিছু বন্ধ থাকবে তাই এটা এ পর্যন্ত যতগুলো লকডাউন হয়েছে তার মধ্যে সর্বাত্মক কঠোর হবে।…এটি বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাসদস্যরা থাকবেন।’
১৩ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, করোনার সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত শাটডাউন আরোপ করা হবে। আর ওই সময়টায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষের চলাচল ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
জেলা ম্যজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগগুলো এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দশনা দেবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেয়ার কথা ঈদের আগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। এবারও তাই করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঈদের আগে ১ জুলাই থেকে ১৪ দিনের লকডাউনেও শুরু থেকেই টহলে নামে সেনা সদস্যরা। কোরবানি ঈদ বিবেচনায় নিয়ে শাটডাউন শিথিল হওয়ার আগ পর্যন্তই মাঠে ছিলেন তারা।
২০২০ সালেও দেশজুড়ে অঘোষিত লকডাউন শুরু হলে তা বাস্তবায়নে মাঠে ছিল সেনাবাহিনী।