জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল আজহার তৃতীয় জামাত। এই জামাতে প্রথম ও দ্বিতীয়টির তুলনায় মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল কম।
সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতটি শুরু হয়ে ১০ মিনিট পর শেষ হয়। এতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ এহসানুল জিলানি।
এই জামাতে অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ ছাড়া, দেশের দূর দূরান্ত থেকে আগত অনেক মুসল্লি অংশ নেন।
এর আগে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জামাত। এতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মুহিবুল্লাহিল বাকী। সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রথম জামাত। এতে ইমামতি করেন মুফতি মিজানুর রহমান।
প্রতিটি জামায়াতের আগে খুতবা ও বয়ানে কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন ইমামরা।
মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ অগাস্ট কালো রাতে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
প্রথম দুটি জামাতে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পূর্ণ থাকলেও তৃতীয় জামাতে মুসল্লি সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে নামাজ পড়তে হয়েছে মুসল্লিদের। সবার মুখে ছিল মাস্ক। এ বিষয়ে মসজিদের মাইকেও বার বার সতর্ক করে দেয়া হচ্ছিল।
প্রথম জামাতে নামাজ আদায় করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন। মাস্ক না থাকায় প্রবেশ গেট থেকে অনেককে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
এরপর সকাল ১০টায় হবে চতুর্থ জামাত। আর পঞ্চম ও সবশেষ জামাতটি হবে সকাল ১০.৪৫ মিনিটে।
করোনা পরিস্থিতিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের খতিব-ইমাম, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এবারের কোরবানির ঈদের জামাত সামাজিক দূরত্ব মেনে মসজিদের পাশাপাশি ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজন করা যাবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। তবে মানতে হবে বেশ কিছু নির্দেশনা।