প্রথম জামাতের মতো হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ৮টায় জামাতটি শুরু হয়ে ১০ মিনিট পর শেষ হয়। এতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মুহিবুল্লাহিল বাকী।
এর আগে সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রথম জামাত। এতে ইমামতি করেন মুফতি মিজানুর রহমান।
জামায়াতের আগে খুতবা ও বয়ানে কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন ইমাম।
দুটি জামাতেই বায়তুল মোকাররম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে সবাইকে নামাজ পড়তে হয়েছে। সবার মুখে ছিল মাস্ক। এ বিষয়ে মসজিদের মাইকেও বার বার সতর্ক করে দেয়া হচ্ছিল।
প্রথম জামাতে নামাজ আদায় করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন। মাস্ক না থাকায় প্রবেশ গেট থেকে অনেককে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
এরপর সকাল ৯টায় শুরু হবে ঈদের তৃতীয় জামাত। সকাল ১০টায় হবে চতুর্থ জামাত। আর পঞ্চম ও সবশেষ জামাতটি হবে সকাল ১০.৪৫ মিনিটে।
করোনা পরিস্থিতিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের খতিব-ইমাম, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এবারের কোরবানির ঈদের জামাত সামাজিক দূরত্ব মেনে মসজিদের পাশাপাশি ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজন করা যাবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। তবে মানতে হবে বেশ কিছু নির্দেশনা।