বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে ড্রিংয়ের ভূমিকা ছিল: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২০ জুলাই, ২০২১ ২০:১০

সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার তথ্য ও প্রতিবেদন তিনি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন।’

বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঠানো এক শোকবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধে সায়মন ড্রিংয়ের সাহসী অবদানের কথা উল্লেখ করে শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার তথ্য ও প্রতিবেদন তিনি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টিতে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিকাশে ও দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির পরিচালনাতেও তার অবদান রয়েছে।’

সায়মন ড্রিংয়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে গত শুক্রবার অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয় এই ব্রিটিশ সাংবাদিকের। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে তার সান্নিধ্য পাওয়া দেশের কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী শোক জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।

ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা প্রতিবেদন সায়মন ড্রিংকে বিশ্বজুড়ে এনে দেয় খ্যাতি ও সুনাম।

একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম বিদেশি সাংবাদিক সায়মন ড্রিং। ওই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেন তিনি। যেখানে ফুটে ওঠে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর রোমহর্ষক নির্যাতন ও গণহত্যার বর্ণনা।

তার তৈরি করা প্রতিবেদনগুলো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ফাইল ছবি

সায়মন ড্রিং দেশে বেসরকারি পর্যায়ের প্রথম টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে বিবিসি ছেড়ে তিনি একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন। যমুনা টেলিভিশনের যাত্রাটাও তার হাত ধরে।

সায়মন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। সাংবাদিকতা শুরু করেছেন ১৮ বছর বয়সে। কাভার করেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে সে সময় সাইমন ড্রিং অর্জন করেন ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টার অফ দ্য ইয়ার।

এ ছাড়া, ইরিত্রিয়া যুদ্ধের ওপর ভ্যালিয়ান্ট ফর ট্রুথ, কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের যুদ্ধের প্রতিবেদনের জন্য সনি এবং হাইতিতে আমেরিকান আগ্রাসনের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে অর্জন করেন নিউইয়র্ক ফেস্টিভ্যাল গ্র্যান্ড প্রাইজ।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে ২০১২ সালে সাইমন ড্রিংকে মৈত্রী সম্মাননা দেয় সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর