বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীক্ষিত বন্ধু হারাল বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি

  •    
  • ২০ জুলাই, ২০২১ ১৯:০৬

সাইমন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সায়মন ড্রিং বাংলাদেশে গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন খবরাখবর ও ঘটনা প্রবাহ বিশ্বের গণমাধ্যমে তুলে ধরার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। তার প্রচারিত সংবাদ মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল।’

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য অবদান রাখা খ্যাতিমান সাংবাদিক সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সায়মন ড্রিং বাংলাদেশে গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন খবরাখবর ও ঘটনা প্রবাহ বিশ্বের গণমাধ্যমে তুলে ধরার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। তার প্রচারিত সংবাদ মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল।

‘সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও পরীক্ষিত বন্ধুকে হারাল।’

সায়মন ড্রিংয়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি।

রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে গত শুক্রবার অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয় সাইমন ড্রিংয়ের। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে তার সান্নিধ্য পাওয়া দেশের কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী শোক জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।

ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা প্রতিবেদন সায়মন ড্রিংকে বিশ্বজুড়ে এনে দেয় খ্যাতি ও সুনাম।

একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম বিদেশি সাংবাদিক সায়মন ড্রিং। ওই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেন তিনি। যেখানে ফুটে ওঠে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর রোমহর্ষক নির্যাতন ও গণহত্যার বর্ণনা।

তার তৈরি করা প্রতিবেদনগুলো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখে।

সায়মন ড্রিং দেশে বেসরকারি পর্যায়ের প্রথম টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে বিবিসি ছেড়ে তিনি একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন। যমুনা টেলিভিশনের যাত্রাটাও তার হাত ধরে।

সায়মন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। সাংবাদিকতা শুরু করেছেন ১৮ বছর বয়সে। কাভার করেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে সে সময় সাইমন ড্রিং অর্জন করেন ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টার অফ দ্য ইয়ার।

এ ছাড়া, ইরিত্রিয়া যুদ্ধের ওপর ভ্যালিয়ান্ট ফর ট্রুথ, কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের যুদ্ধের প্রতিবেদনের জন্য সনি এবং হাইতিতে আমেরিকান আগ্রাসনের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে অর্জন করেন নিউইয়র্ক ফেস্টিভ্যাল গ্র্যান্ড প্রাইজ।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে ২০১২ সালে সাইমন ড্রিংকে মৈত্রী সম্মাননা দেয় সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর