কোরবানির চামড়া যথাযথভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে কাজ চলবে তিনস্তরে। এ লক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিনস্তরে কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি নিজ নিজ এলাকায় সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
কমিটির কাজ হবে মাঠপর্যায়ে চামড়ার সংগ্রহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং ক্রেতা-বিক্রেতা পর্যায়ে সরকার ঘোষিত নির্ধারিত মূল্য স্থিতিশীল রাখা। এছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং অন্যান্যস্থানে সংরক্ষিত কাঁচা চামড়ায় যথাসময়ে প্রয়োজনীয় লবণ প্রয়োগ ও লবণের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত রাখা। একইসঙ্গে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে শহরগুলোতে চামড়া কেনার আড়ৎ বা অন্যান্য স্থানে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে রাখা।
বিশেষ পরিস্থিতিতে উদ্বৃত্ত কাঁচা চামড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে সংরক্ষণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা উপযুক্ত কোন স্থান ব্যবহারের পদক্ষেপও নেবে গঠিত কমিটি। লবণের পরিবহন নির্বিঘ্নকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি পাচাররোধে কোরবানির দিন থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কাঁচা চামড়া যাতে ঢাকা অভিমুখে পরিবহন না করা হয়- সে বিষয়টিও কমিটি নজরদারিতে রাখবে।
সিটি কর্পোরেশনের কমিটিতে থাকছেন যারা
এসব এলাকায় গঠিত কমিটিতে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি এবং করপোরেশনের সচিব কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন, হলেন-বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি, ডিআইজি সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের প্রতিনিধি, বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) প্রতিনিধি, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক, বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের পক্ষে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের প্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতির প্রতিনিধি।
জেলাপর্যায়ে গঠিত কমিটিতে
সভাপতি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসককে। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। আর কমিটির সদস্যরা হলেন-জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলার বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর জেলা কম্যান্ডেন্টের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট পৌরসভার মেয়রের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি এবং জেলা চামড়া ব্যবসায়ী বা আড়তদার সমিতির সভাপতি।
উপজেলাপর্যায়ে কমিটি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হলেন এই কমিটির সভাপতি এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) হচ্ছেন সদস্যসচিব।
কমিটির সদস্যরা হলেন-উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, বিসিকের কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়ী বা আড়তদার সমিতির সভাপতি।