বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একদিকে গাড়ির সারি, আরেক দিকে ফাঁকা

  •    
  • ২০ জুলাই, ২০২১ ১১:০৯

ঈদযাত্রার শেষ দিনে মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত সড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলছে। আবার রাবনা বাইপাস থেকে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও কোথাও যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী ও চালকরা।

ঈদে বাড়ি যেতে মরিয়া যাত্রীদের চাপে মহাসড়কে নেমেছে যানবাহনের ঢল। কোথাও যানজট, কোথাও আবার ধীর লয়। ২০ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে লেগে যাচ্ছে পাঁচ ঘণ্টা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এ দুর্ভোগচিত্র শুধুই একমুখী। যারা ঢাকা ছাড়ছেন শুধু তারাই পড়ছেন এ জটে। ঢাকামুখী সড়ক একদমই ফাঁকা।

টাঙ্গাইলের মহাসড়কে সোমবার রাত থেকেই থেমে থেমে পরিবহন চলাচল করছে। কালিহাতী এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে যানজট হচ্ছে দফায় দফায়। একেবারেই ধীরগতিতে চলাচল করছে পরিবহনগুলো।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গগামী সড়ক লেনে যানজট তৈরি হলেও, ঢাকাগামী লেনে তেমন গাড়ির চাপ নেই।

ঈদযাত্রার শেষ দিনে মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত সড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলছে। আবার রাবনা বাইপাস থেকে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও কোথাও যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী ও চালকরা।

ঢাকা থেকে রওনা দেয়া জুয়েল হিমু বলেন, ‘সোমবার বিকেলে বাসে উঠেছি টাঙ্গাইল যেতে। আব্দুল্লাহপুর পার হতেই যানজট। রাত ১০টায় আশুলিয়া পর্যন্ত পৌঁছে আটকে যায় গাড়ি। সারা রাত যানজটে আটকা ছিলাম। সকালে টাঙ্গাইল পৌঁছেছি।’

বাসচালক পারভেজ আলম জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার থেকে যানবাহনের বেশি জট লেগেছে। আব্দুল্লাহপুর থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি চলছে একেবারেই ধীরগতিতে। পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি থেমে থাকলে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি কষ্টের শিকার হয়।

মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, এলেঙ্গা পর্যন্ত যানবাহনে কিছুটা গতি থাকলেও তারপর থেমে যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত সড়কে গাড়ি চলছে একদম ধীরে। মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন অবস্থা। গণপরিবহন, প্রাইভেট কারসহ নানা রকম গাড়িতে জট লেগে যাচ্ছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, ভোররাত থেকে শুরু হয়েছে এমন পরিস্থিতি। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণে গাড়ি আটকে গেছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন সরাতে একটু সময় লাগছে। এ অবস্থায় যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে প্রচুর গাড়ি নামায় চাপ বেড়ে যায়, তাতেই লাগে জট। আমরা পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক করতে নিরলসভাবে কাজ করছি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে ধারণা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর