ঢাকার বিশ্বরোড এলাকা থেকে গাজীপুরে কোনাবাড়ী পর্যন্ত সড়ক স্থবির। এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে যানজটের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ১২ কিলোমিটারে। একেবারে ব্লক হয়ে আছে রাস্তা।
সোমবার সারাদিনই গাজীপুর রোডে গাড়ি চলছিল ধীর গতিতে। বিকেল থেকে সেই যানজটের প্রভাব পড়ে রাজধানীতেও। শাহজাদপুর থেকে থেমে থেমে গাড়ি চলছিল উত্তরা পেরিয়ে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত। সেই থেকে মঙ্গলবার সকাল অব্দি কমেনি যানজট। যত সময় যাচ্ছে, ততই দীর্ঘ হচ্ছে গাড়ির সারি। এতে বিরক্তির শেষ নেই যাত্রী, ড্রাইভার ও ট্রাফিক পুলিশদের।
সোহরাব হোসেন নামে ময়মনসিংহগামী এক যাত্রী টঙ্গী বোর্ড বাজার এলাকায় মঙ্গলবার সকালে নিউজবাংলাকে বললেন, ‘ভাই, মহাখালী থেকে রাত ১২টায় রওনা দেয়া এহানে আইসি। কহন বাড়ি যায়াম জানি না। ঈদ মনে অয় রাস্তায় করতে অইব।’
একই রকম অভিব্যক্তি যশোরগামী বাসের ড্রাইভার মানিক মিয়ার। তিনি বলেন, ‘প্রায় একদিন হলো একটা ট্রিপই মারতি পারিনি। ইনকাম কনতে হবে। সবই কপাল।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) আব্দুল্লাহ আল মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্যান্য বছর শুধু যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করে। কিন্তু এবার ঈদে যাত্রীবাহী পরিবহন পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং পশুবাহী গাড়ি বেশি থাকায় যানজট বেশি।’
মঙ্গলবার সকালে সাভারেও যানজটের একই রকম দৃশ্য দেখা যায়। সোমবার দিনভরও ছিল একই পরিস্থিতি।
পরিবহন না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে সড়ক ও বাস কাউন্টারগুলোতে। অনেকেই বাস না পেয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ট্রাক কিংবা কাভার্ড ভ্যানে।
যানজটে চলছে না গাড়ি, তাই রাস্তার পাশেই বিশ্রাম নিচ্ছেন বাড়িগামী যাত্রীরা। ছবি: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার ভোর বেলা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থেকে নবীনগর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ধউর থেকে জিরাবো পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে একমুখী যানজট রয়েছে।
সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুস সালাম বলেন, গতকাল থেকেই সাভারের সড়কগুলো প্যাকড ছিল। শিল্পকারখানা ছুটি হওয়ার কারণে এখানে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ে। রাতভর এই যানজট তীব্র ছিল। তবে ঢাকা থেকে বহির্গমনের পথে তিনটি সড়কে যানজট রয়েছে। তবে তা গতকালের চেয়ে কম। মনে হচ্ছে, আজকেই শেষ চাপ হবে। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল সড়কে কাজ করছেন।