সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ ১২ জনকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এই ১২ জনই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাজ্যে ছিলেন। আর সে সময় তারা বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করেন।
অন্য যারা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন সদ্য প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী জাকারিয়া চৌধুরী, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া আবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক এনামুল হক, সাবেক রাষ্ট্রদূত রাজিউল হাসান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ।
অন্যরা হলেন আব্দুল মজিদ চৌধুরী, সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, আবুল খায়ের নজরুল ইসলাম, মাহমুদ আব্দুর রউফ, আফরোজ আফগান চৌধুরী।
প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিচারপতি মানিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি খুবই আনন্দের খবর। এতদিন পর হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসীদের যে অবদান, সরকার সেটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি শুধু এই ১২ জনের জন্য নয়, আরও যারা অবদান রেখেছেন, তারা তথ্য প্রমাণাদি দিয়ে এই তালিকায় নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।’
এর আগে ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে গঠিত ১৩১টি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠন স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক প্রয়াত আজিজুল হক ভূঁঞাকে প্রবাসে বিশ্ব জনমত গঠন গেজেটে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে যারা বিশ্ব জনমত গঠনে কাজ করেছেন তারা আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।