ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে আবার ১৪ দিনের শাটডাউনে যাচ্ছে দেশ। এই সময়ে শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও খোলা রাখার অনুমতি মিলেছে খাদ্য, চামড়া ও ওষুধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার সকল সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন; সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পকে বিধি-নিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেও কোরবানি ঈদ ও পশুর হাট বিবেচনায় নিয়ে শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর লকডাউন গত ১৫ জুলাই থেকে শিথিল করেছে সরকার। ঈদ হবে ২১ জুলাই। ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের দেয়া হবে শাটডাউন। এই শাটডাউন কঠোর হবে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
শাটডাউনের মধ্যে দেশের অর্থনীতি ও রপ্তানি বাণিজ্যের কথা মাথায় রেখে পোশাক মালিকরা কারখানা খোলার রাখার অনুমিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তারা দেখা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গেও। কিন্তু সরকার সাড়া দেয়নি।
দেশে ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে সরকার জানিয়েছে, খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা; কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ; এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পকে বিধি-নিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।