সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণের ১৮ দিন পর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েছেন ড. শামসুল আলম। রোববার সন্ধ্যায় শপথ নিয়ে সোমবার সকালেই তিনি মন্ত্রণালয়ে অফিস শুরু করেছেন।
নতুন প্রতিমন্ত্রীকে সোমবার ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ড. শামসুল আলম অধ্যাপনা শেষে দীর্ঘ ১২ বছর পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণকালে প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মর্যাদা দিয়েছেন, আমি সেই মর্যাদার প্রতিদান দেব। আমি দীর্ঘদিন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি, এই স্বচ্ছতা অক্ষুণ্ণ রাখব।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে নতুন একটা ইঞ্জিন যোগ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও গতি পাবে।’
২০২০ সালে অর্থনীতিতে একুশে পদক পাওয়া অর্থনীতিবিদ শামসুল আলম টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রতিমন্ত্রী হলেন। সদ্য সাবেক এ সিনিয়র সচিব দীর্ঘ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ৩০ জুন তার মেয়াদ শেষ হয়। তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন এমন আলোচনা শুরু হয় তখন থেকে।
এর আগে শামসুল আলম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ বছর অধ্যাপনা শেষে প্রেষণে ছুটিতে যান। ২০০৯ সালের ১ জুলাই তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শামসুল আলমকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। করোনা সংক্রমণের কারণে এই শপথ অনুষ্ঠান হয় সীমিত পরিসরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল কবির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শপথ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আইনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রিসভার আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রোববার রাতেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বণ্টনের তথ্য জানানো হয় শামসুল আলমকে। সে মোতাবেক সকালেই তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন।