করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার দুপুরের দিকে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তার টিকা নেয়ার কথা রয়েছে।
টিকা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখন বাড়িতেই অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে আমরা হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। হাসপাতাল থেকে যে সময় দেয়া হবে, সেই সময়ে গিয়ে তিনি টিকা নিবেন।’
করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ৮ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করেন খালেদা জিয়া। নিবন্ধনের সময় টিকার কেন্দ্র নির্বাচন করা হয় মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক ফারুক বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে সোমবার দুপুর ১টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে টিকা নেয়ার জন্য আসতে বলা হয়েছে।’
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘নিবন্ধনের পর টিকা কবে নেয়া যাবে সেই নির্ধারিত তারিখ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি এসএমএস পাঠায়। বিএনপি চেয়ারপারসন গত রোববার সেটি পেয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাড়িতেই খালেদা জিয়ার টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য। তবে সেটা না হলে অবশ্যই হাসপাতালে টিকা নিতে হবে।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এখনও খালেদা জিয়ার করোনা-পরবর্তী চিকিৎসা চলছে।
খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয় গত ১৪ এপ্রিল। প্রথম দিকে তিনি বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন। পরে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৯ মে তার করোনা পরীক্ষায় ফলাফল ‘নেগেটিভ’ আসে।
করোনা মুক্তির পরও শারীরিক সমস্যা থাকায় খালেদা জিয়াকে প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে থাকতে হয়। কিছুদিন সেখানকার করোনারি কেয়ার ইউনিটেও (সিসিইউ) রাখা হয়েছিল বিএনপি নেত্রীকে।
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তবে করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর তার আর্থ্রাইটিসসহ পুরোনো অনেক রোগের উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ায় সেগুলোর জটিলতা বেড়েছে। এর মধ্যে হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে বিএনপি থেকে বলা হয়েছে।