শাটডাউন শিথিল করায় বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটছে মানুষ। মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেলেও ফেরিঘাট প্রায় ফাঁকা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখতে ও ভোগান্তি কমাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৬টি ফেরি চলছে। আরিচা-কাজিরহাট দিয়ে চলছে তিনটি ফেরি।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ বাড়ি ফেরে। কিন্তু সব ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের তেমন কোনো চাপ নেই।
তবে ঘাটের আশপাশের এলাকায় আছে যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত পরিবহনের লম্বা লাইন। সেই সঙ্গে আছে জরুরি ও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক।
আব্দুল মালেক যাবেন ফরিদপুর। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারা রাস্তা তো ভালোভাবেই এলাম। কিন্তু পাটুরিয়া ঘাটের কাছে এসে আটকা পড়লাম। বাড়ির কাছে এসে এই রোদের মধ্যে বাসে বসে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
ফরিদপুরের ভাঙ্গার যাত্রী লিপি আক্তার জানান, পাটুরিয়া ঘাট এলাকার আরসিএল মোড়ে যানজটে আটকা পড়েছিলেন। বাচ্চা নিয়ে এই গরমে এত সময় ধরে বাসে বসে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। পরে রিকশা নিয়ে পাটুরিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাটে আসেন। এসে দেখেন ঘাট ফাঁকা।
এদিকে এম আর পরিবহনের চালক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই গরমের মধ্যে এভাবে বসে থাকতে খুব বিরক্ত লাগে। অনেক সময় যাত্রীরাও আমাদের সঙ্গে রাগারাগি করে। ঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করে এসে যখন দেখি ঘাট ফাঁকা, তখন খুব খারাপ লাগে।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের কোনো চাপ নেই। সব ফেরি ঠিকমতো চলছে। তবে ঘাট এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গাড়ি সিরিয়ালে রাখা হচ্ছে।