সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মতে, সরকারি মালামাল এখন আগের চেয়ে সদ্ব্যবহার হচ্ছে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোববার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এখন যে জিনিসটা লক্ষ করি, প্রত্যেকটা সরকারি অফিসারের ভেতরে…আগে যেমন সরকারি মাল দরিয়ামে ঢাল ছিল, এখন সেটা নেই।
‘আজ প্রত্যেকেই নিজের কাজটাকে নিজের মতো করে গ্রহণ করছেন। আপনার দায়িত্বটা আপনি নিজে গ্রহণ করছেন এবং নিজে তা বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আসলে এটাই সবচেয়ে বড় কাজ বলে আমি মনে করি।’
কর্মকর্তাদের নিজেদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন যিনি দায়িত্ব নেবেন, জাতির পিতার নির্দেশনাগুলো যদি আপনি একবার দেখেন তাহলে দেখবেন তিনি কিন্তু প্রত্যেকটা জিনিস বলে গেছেন যে আপনাদের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা।
‘আমার দেশের কৃষক মাথার ঘাম ফেলে ফসল উৎপাদন করে, সেই ফসল খেয়েই তো আমাদের জীবন বাঁচে। আমার দেশের শ্রমিক তার শ্রম দিয়ে ঘাম দিয়ে যে উৎপাদন করে, সেটাই তো আমাদের আর্থিক সংগতি।’
খেটে খাওয়া মানুষকে যোগ্য সম্মান দেয়ার তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমাদের দেশের খেটে খাওয়া মানুষ, তাদের অবদানটা আমরা ছোট করে দেখতে পারি না। কোনো কাজই ছোট না। তাদের কল্যাণে কাজ করা, তাদের জীবনমান উন্নত করা, প্রযুক্তি শিক্ষা দেয়া, যান্ত্রিকীকরণ করা কৃষিকে বা শ্রমের মূল্য দেয়া এটা তো আমাদের দায়িত্ব। তাদের সম্মান দেয়া এবং তাদের জন্য কাজ করা, সেটাই তো বড় শিক্ষা।’
আরও ভ্যাকসিন আসছে
দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা যেন সবাই গ্রহণ করতে পারে সরকার সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করে দিয়েছি। আরও ভ্যাকসিন আসছে।
‘যাদের এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা দরকার তাদের সকলেই যেন এটা নিতে পারে। আমাদের যত দরকার আমরা তা ক্রয় করব এবং দেব। কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে বাদ না যায়, সেভাবেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা চাচ্ছি যে, আমাদের দেশের মানুষ যেন কোনো রকম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
এ সময় সাধারণ মানুষকে করোনা বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে আরও সচেতন করতে সরকারি কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি জানি আমাদের মানুষগুলো মাস্ক পরতে চায় না। কিন্তু আপনারা যে যেখানে দায়িত্বরত আছেন চেষ্টা করবেন মানুষকে বোঝাতে এবং তারা যেন এই মাস্কটা পরে। আর যেন সাবধানে থাকে।’