বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২১ ১২:০১

প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত শুরু হবে সকাল ৮টায়। সকাল ৯টায় শুরু হবে তৃতীয় জামাত। চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও শেষ জামাতটি হবে সকাল সোয়া ১১টায়।

কোরবানির ঈদে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেককে নামাজ আদায় করতে হবে।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এই নামাজে ইমাম​তি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।

দ্বিতীয় জামাত শুরু হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভীকে।

সকাল ৯টায় শুরু হবে তৃতীয় জামাত। বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক এই নামাজে ইমামতি করবেন।

সকাল ১০টায় হবে চতুর্থ জামাত। যেখানে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম​ হাফেজ মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম।

আর পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০.৪৫ মিনিটে। এই নামাজের ইমামের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খানকে।­­

পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

বত‍র্মান করোনা পরিস্থিতিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের খতিব-ইমাম, ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এবারের কোরবানির ঈদের জামাত সামাজিক দূরত্ব মেনে মসজিদের পাশাপাশি ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজন করা যাবে বলে আগেই জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে মানতে হবে বেশ কিছু নির্দেশনা।

১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে আছে:

০১. করোনাভাইরাসের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে উপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে স্থানীয় প্রশাসন।

০২. মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

০৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদ বা ঈদগাহে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

০৪. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদ বা ঈদগাহে অজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

০৫. মসজিদ বা ঈদগাহ মাঠের প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।

০৬. ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

০৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

০৮. শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

০৯. সবার সুরক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১০. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

১১. করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং সকলের অন্যায়-অপরাধের জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

১২. খতিব, ইমাম, মসজিদ বা ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিভাগের আরো খবর