ঈদকে কেন্দ্র করে রোববার সকালেও ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যানবাহনে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।
বিশেষ করে শিমুলিয়া লঞ্চঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড়। লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে। এ ছাড়া ঘাটের মুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অপেক্ষায় শ শ পণ্যবাহী ট্রাক। যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে লঞ্চঘাটে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ সচল। ঘাট পারের অপেক্ষায় আছে প্রায় ৫০০ গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, ‘নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যেতে ফেরিগুলোর দ্বীগুণ সময় লাগছে। প্রতিটি ফেরি স্রোতের বিপরীতে ও নদীতে ৩-৪ কিলোমিটার অধিক পথ ঘুরে যাচ্ছে।’
দৌলতদিয়া ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, এই রুটে ছোট-বড় মোট ১৫টি ফেরি চলছে। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল থেকে আসা পশুবাহী ট্রাক নিয়ে ব্যবসায়ীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। গাড়িতে থাকা পশুগুলোও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে যাত্রীবাহী বাসগুলোতে দীর্ঘ সময় ফেরি ঘাটে আটকে থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীরা গরমে অস্থির হয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকাগামী কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী জানান, তারা শনিবার রাত ১১টার দিকে ঘাটে পৌঁছে বসে আছেন। এখনো ফেরিতে উঠতে পারেননি। ফেরিতে উঠতে আরও ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এই ঘাটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বিআউডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।