স্বামী ধনী ব্যবসায়ী। ঢাকায় বহুতল বাড়ির মালিক। রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে করোনায় মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তার সতীনের সন্তানেরা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল। তার ভরণপোষণের যে ব্যবস্থা তার স্বামী করে গিয়েছিলেন তা থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছিল।
তার ঘরে কোনো সন্তান আসেনি। পাশে দাঁড়ানো মতোও তেমন কেউ নেই। নিভৃতে কান্না ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর তার ছিল না। তিনি বুঝে গিয়েছিলেন একা কোনো ভাবেই লড়াই করে পেরে উঠবেন না সতীনের সন্তান ও তাদের পক্ষের মানুষদের সঙ্গে। ভেবেছিলেন, নীরবেই বেরিয়ে গিয়ে নিজের গ্রামে আশ্রয় নিবেন।
এই পর্যায়ে কোনো এক শুভাকাঙ্খীর পরামর্শে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লিখেন তিনি। জানান তার দুঃখ, দুর্দশা ও বঞ্চনার কথা।
মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তার সব কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেয় তার পাশে থাকার। এরপরই মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের শাহবাগ থানার তৎকালীন ওসি মো. মামুনুর রশীদকে ওই ভদ্রমহিলাকে আইনি সহযোগিতা দেয়ার নির্দেশনা দেয়।
ওসি শাহবাগ দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে সম্পৃক্ত করে তাদেরই মাধ্যমে দুই পক্ষের সম্মতিতে একটি সুষ্ঠু সমাধানের আয়োজন করে দেন। ভদ্রমহিলা আইন অনুযায়ী যেটুকু সম্পত্তি ও সুবিধা প্রাপ্য ছিলেন তা স্বল্পতম সময়ে তাকে বুঝিয়ে দেন অপরপক্ষ।
গত ২৩ জুন দুই পক্ষের মধ্যে একটি চমৎকার বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সমস্যাটি সমাধান হয়। ভদ্রমহিলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
অপরপক্ষকে জানানো হয়েছে, ভদ্রমহিলার কোনো ক্ষতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কার্পন্য করবে না পুলিশ। ভদ্রমহিলার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। সর্বশেষ ১৫ জুলাই ভদ্রমহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার খোঁজখবর নেয় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভদ্রমহিলা।
উল্লেখ্য ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণ ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিষয়াদির নাম পরিচয় প্রকাশ না করার পলিসি অনুসরন করে থাকে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।