দেশবরেণ্য গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
শুক্রবার রাতে তার ছেলে রাজীব আলমগীর এ কথা জানান।
বুধবার করোনায় আক্রান্ত হন ফকির আলমগীর। শুরুতে তার চিকিৎসা বাসাতেই চলছিল। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তার ছেলে রাজীব আলমগীর বলেন, ‘বাবা আগের চেয়ে ভালো আছেন। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।’
রাজীব বলেন, ‘বাবার জন্য দুপুরে দুই ব্যাগ প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যার মধ্যে এক ব্যাগ আজ রাতেই দেয়া হয়েছে। আর এক ব্যাগ আগামীকাল দেয়া হবে। বাবা অন্যের সাহায্য নিয়ে বাথরুমেও যেতে পারছেন।’
এ ছাড়া ইউনাইটেড হাসপাতালের ডিউটি অফিসার নিউজবাংলাকে জানিয়েছে, তার মৃত্যু নিয়ে যে সংবাদ ছড়িয়েছে সেটি মিথ্যা। তিনি এখনও হাসপাতালেই আছেন।
ফকির আলমগীরের বয়স এখন ৭১। ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের বিপ্লবী শিল্পী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয় পটে’ নামের কয়েকটি বইও লিখেছেন।
সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন ফকির আলমগীর।