বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লঞ্চের ডেকে বসতে হবে মার্কিং মেনে

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২১ ১৮:৫৯

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রথম ওয়েভে গতবার ডেকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ডেকগুলোতে মার্কিং করা হয়। এবারও মার্কিং করেছি। ডেকগুলোতে মার্কিং অনুযায়ী বসতে হবে। শতভাগ মাস্ক পরতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় নেই।’

শাটডাউন মিথিল হওয়ায় বাস, ট্রেন ও বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের মতো চালু হতে যাচ্ছে লঞ্চও। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে লঞ্চে নেয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে ডেকে যাত্রী বসাতে দেয়া করা হয়েছে মার্কিং ব্যবস্থা।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত চলাচল করবে যাত্রীবাহী লঞ্চ। তবে লঞ্চের ডেকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে হবে। এজন্য ডেকের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিলে লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।

ঈদের সময় নৌযান চলাচল নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে এক সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাস, ট্রেনে সিটে নম্বর দেয়া থাকে। লঞ্চের ক্ষেত্রে জটিল। লঞ্চের কেবিনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা যায়, ডেকের ক্ষেত্রে কষ্টকর হয়ে যায়।’

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘করোনার প্রথম ওয়েভে গতবার ডেকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ডেকগুলোতে মার্কিং করা হয়। এবারও মার্কিং করেছি। ডেকগুলোতে মার্কিং অনুযায়ী বসতে হবে। শতভাগ মাস্ক পরতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় নেই।

‘আমরা লঞ্চ মালিক, বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি যেসব লঞ্চ মালিকরা শিথিলতা দেখাবে তাদেরকে আমরা জরিমানার আওতায় আনব। লঞ্চ মালিকরা লঞ্চের স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করে তাদের লঞ্চে কাজ করতে দেবে। এজন্য নৌখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের জন্য টিকা দেয়া হয়েছে।’

বিধিনিষেধ না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লঞ্চ মালিকরা ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, কারণ আমরাই তো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছি।’

নৌ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন জানান, ‘মহামারির মধ্যে লঞ্চগুলোর ডেকে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে চলাচল করতে হবে। এজন্য ডেকের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে কেবিনের ভাড়া বাড়ছে না। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব বলে কেবিনের ভাড়া স্বাভাবিক নিয়মেই থাকছে।’

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লঞ্চ চলবে। এটিও কিন্তু বিধিনিষেধের মধ্যে পড়ে গেল। কারণ ২১ জুলাই ঈদ। ২৩ জুলাই থেকে ফের বন্ধ। যাত্রীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা আসবেন কিনা এবং ঢাকা থেকে বের হয়ে যাবেন কিনা। কারণ যাওয়া ও ফিরে আসাটা ঝুঁকিপূর্ণ। কাজেই এটা চিন্তা করে সবাই যাত্রা করবে বলে আমি মনে করি।’

তবে লঞ্চের ফিরতি যাত্রীর চাপ কম হবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘২৩ জুলাই থেকে বিধিনিষেধের মধ্যে কলকারখানা বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে লঞ্চের ওপর ফিরতি চাপটা খুবই কম হবে। আমরা বিধিনিষেধ অনুসরণ করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। সবাই যদি সহযোগিতা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চযাত্রা করতে পারব।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে সুরক্ষিত রাখাকেই মহমারির মধ্যে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এরসঙ্গে সবাইকে যুক্ত হতে হবে। নইলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে না। ঈদের একদিন পর থেকে যেহেতু বিধিনিষেধ শুরু হবে তাই ধারণা করছি, মানুষ স্থানান্তর কম হবে। মনে করছি, যাত্রীর চাপও কম হবে। তবে সবাই ভিড় করলে লঞ্চে জায়গার অভাবে অনেকে যাত্রাবঞ্চিত হবেন।’

ফেরি পারাপার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গত রোজার ঈদে ফেরি দখল করে নেয়া হয়েছিল। কেউ যদি দখল করে নিয়ে যায় আমরা তো আক্রমণাত্মক হতে পারি না। কারণ, আমরা গণতান্ত্রিক সরকার, সামরিক সরকার না।

‘আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি, জনগণ স্বাস্থ্যবিধিগুলো অমান্য করেছে, এখানে দুঃখ পাওয়া ছাড়া কিছু করার নেই। ফেরিগুলো শুধু যানবাহন পারাপারের জন্য, মানুষ পারাপারের জন্য নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর