করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে কোরবানির ঈদ উদযাপনে গিয়ে বিপদ ডেকে না আনতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বুধবার আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বিপণনে বিকল্প বাজার ব্যবস্থাপনা এবং প্রাণিজ পণ্যের বিপণন বিষয়ে ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা বাঙালিসহ বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। তবে কোরবানি উদযাপন করতে গিয়ে যাতে আমরা বিপদ ডেকে না আনি সেটা খেয়াল রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। সে কাজের প্রক্রিয়ায় যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তাহলে ধরে নেয়া হবে করোনাকালে মানুষের সমাগম এড়িয়ে সুন্দরভাবে কাজ করার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
‘এটা আমরা কঠোরভাবে নেব। কোরবানির ডিজিটাল ব্যবস্থাকে ব্যাহত করার কর্মকাণ্ডে কেউ সম্পৃক্ত হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ বিষয়ে শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘অনলাইন পদ্ধতিতে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে যাদের প্রমাণাদি আছে, তাদের যাতে পথে হয়রানি করা না হয় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। হয়রানি করলে সেটা চাঁদাবাজি হবে, ফৌজদারি অপরাধ হবে।’
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারের নির্ধারিত এলাকার বাইরে পশু পরিবহন ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই হাসিল আদায় করা যাবে না। এটা নিশ্চিত করতে হবে।’
কোরবানির হাট-বাজারে যাতে চাঁদাবাজি বা ডাকাতি না হয় এ জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগে সম্পৃক্তদের নজরদারি বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। সরকার এ বিষয়ে সহায়তা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আপনাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম আশা করি। আমাদের কাজের জায়গা কোনোভাবেই স্থবির করা যাবে না। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। কোরবানি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সকল প্রস্তুতি নিতে হবে। বাজারে যাতে অসুস্থ বা রুগ্ণ পশু বিক্রয় না হয় সে বিষয়ে ভেটেরিনারি সার্জনরা কাজ করবেন।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত ১ কোটি ১৯ লাখ গবাদিপশুর একটিও অবশিষ্ট থাকবে না। অনলাইনে ২৫ শতাংশ গবাদিপশু বিক্রি হবে বলে আমরা আশা করছি।’