বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রূপগঞ্জের ঘটনায় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর ভূমিকা দেখছি না: হাইকোর্ট

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২১ ১৬:১২

ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর উদ্দেশে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে, ‘এ বিষয়ে (রূপগঞ্জের আগুন) তাদের কোনো ওভারসি (তদারকি) দেখছি না। তারা শুধু আছে সরকারের কাছ থেকে কীভাবে প্রণোদনা নেবে আর ব্যাংকের ঋণ কীভাবে মাফ পাওয়া যায় তা নিয়ে।’

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুডসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক শ্রমিকের প্রাণহানি নিয়ে এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, এ বিষয়ে সংগঠনগুলোর কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ মন্তব্য করে।

আদালত বলেছে, ‘এ বিষয়ে (রূপগঞ্জের আগুন) তাদের কোনো ওভারসি (তদারকি) দেখছি না। তারা শুধু আছে সরকারের কাছ থেকে কীভাবে প্রণোদনা নেবে আর ব্যাংকের ঋণ কীভাবে মাফ পাওয়া যায় তা নিয়ে।’

রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডিতে আগুনে পুড়ে নিহত, আহতসহ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাসসহ ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বিচারক তখন এসব কথা বলেন।

বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

এ সময় আদালত বলে, ‘বেতন-বোনাস দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পত্রিকায় এসেছে শুক্রবার তাদের বোনাস দিয়ে দেবে। আহত শ্রমিকদের কীভাবে দেবে সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের একটা বক্তব্য আছে দেখলাম। পরিশোধের প্রক্রিয়া চলছে। তারিখ উল্লেখ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় কোনো আদেশ দিলাম না। দেখা যাক।’

একপর্যায়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘একটি কথা বলি, আসলে আপনারা যারা বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে আছেন, তারা কোর্টে আসেন। সব থেকে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় যারা আছেন তাদের কিন্তু এসব বিষয়ে ওভারসি (তদারকি) করার কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।

‘এ ঘটনায় (রূপগঞ্জের আগুন) আমি তাদের কোনো স্টেটমেন্টও দেখিনি, যে এফবিসিসিআই স্টেটমেন্ট দিয়ে এই শ্রমিকদের মৃত্যুর বিষয়ে কোনো শোক জানাইছে বা তাদের কোনো প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়েছে।’

এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান কীভাবে চলছে, কোথায় দুর্বলতা, কোথায় ঘাটতি এসব ক্ষেত্রে এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর রোল প্লে করা প্রয়োজন। এখন গার্মেন্টসের ব্যাপারে বিদেশিরা চাপ দিয়েছে বিধায় সেখানে একটা পরিবেশ করা হয়েছে। আমাদের দেশে যতক্ষণ চাপ না দিচ্ছেন, ব্যবসায়ী মহলের মধ্যে ততক্ষণ কোনো পজিটিভ ভূমিকা দেখি না।’

ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কি কোনো দায়বদ্ধতা নেই, এমন এক প্রশ্নে বিচারক বলেন, ‘তারা (ব্যবসায়ী সংগঠন) শুধু আছে সরকারের কাছ থেকে কীভাবে প্রণোদনা নেবে আর ব্যাংকের ঋণগুলো মাফ করাবে। এসব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যে দায়বদ্ধতা সেখানে কাজ করা উচিত।

‘বিশেষ করে তদারকি সংস্থা যেগুলো আছে, তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না, সেটা দেখা উচিত। আজকে পত্রিকায় দেখলাম পরিদর্শনে যান, গিয়ে খাম নিয়ে চলে আসেন। এসব জায়গাগুলোতে আপনাদের (মানবাধিকার সংগঠনগুলো) কাজ করার সুযোগ আছে।’

বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় আইনজীবীকে ধন্যবাদও জানান বিচারক।

রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুন লাগে। আগুনের ঘটনায় কারখানাটির ছয়তলা ভবনে কর্মরত অবস্থায় অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

পরে এ ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের জন্য ১ কোটি টাকা এবং আহতদের প্রত্যেকের জন্য ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে বেশ কয়েকটি সংগঠন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত বলেছে, ‘বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সরকার বা কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনে পরে আদেশ দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর