বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্ত্রী হত্যায় ফাঁসির দণ্ড থেকে আপিলে খালাস

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২১ ১৩:২৬

আসামিপক্ষের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আপিল বিভাগ আজকে আমাদের আপিল গ্রহণ করে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ থেকে স্বামী আউয়াল খানকে খালাস দিয়েছেন। হত্যার ঘটনায় কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিল না। স্বামীর কোনো স্বীকারোক্তি ছিল না। তা ছাড়া, ঘটনার দিন স্বামী বাসায় ছিলেন না। তিনি ব্যবসার কাজে বাজারে ছিলেন। রাতে এসে দেখেন তার স্ত্রী খুন হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে খালাস দিয়েছে।’

স্ত্রী হত্যার অভিযোগে শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় স্বামী আব্দুল আউয়াল খানকে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট ফাঁসির রায় দিলেও খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এ রায় দেয়।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

নিউজবাংলাকে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আপিল বিভাগ আজকে আমাদের আপিল গ্রহণ করে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ থেকে স্বামী আউয়াল খানকে খালাস দিয়েছেন। হত্যার ঘটনায় কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিল না। স্বামীর কোনো স্বীকারোক্তি ছিল না। তা ছাড়া, ঘটনার দিন স্বামী বাসায় ছিলেন না। তিনি ব্যবসার কাজে বাজারে ছিলেন। রাতে এসে দেখেন তার স্ত্রী খুন হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোর চারটার দিকে আউয়ালের স্ত্রী নার্গিস খুন হন। এ ঘটনায় নার্গিসের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে ওই দিনই গাজীপুরে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ স্বামী আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়। কিন্তু রিমান্ডে তার স্বীকারোক্তি ছিল না। পরে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ২০ আগস্ট গাজীপুর অতিরিক্ত দায়রা আদালত তাকে ফাঁসির দণ্ড দিয়ে রায় দেয়।

এরপর মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। সঙ্গে আসামিও আপিল দায়ের করেন। হাইকোর্ট ডেথরেফারেন্স ও আপিল শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয়।

পরে আপিল বিভাগে জেল আপিল দায়ের হয় এবং আসামি নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে আউয়ালকে খালাস দিয়ে রায় দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর