সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের জন্য আরও ৯ হাজার ৪৭৪ দশমিক ৬২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে সরকারের নির্দেশনা মেনে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের জন্য এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত পৃথক দুটি মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। যা গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে বুধবার।
দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ। এ সময় উপকূলীয় ১৪টি জেলার ৬৭টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বসবাস করা ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৫টি জেলে পরিবার মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছে। তাদের অনুকূলে ৮ হাজার ৯৭৪ দশমিক ০৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে পরিবারপ্রতি ৩০ কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে গত মে মাসে পরিবারপ্রতি ৫৬ কেজি চাল এ খাতে বিতরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালে হ্রদ তীরবর্তী রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০টি উপজেলার মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা ২৫ হাজার ৩১টি জেলে পরিবারের জন্য ৫০০ দশমিক ৬২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সেখানে দ্বিতীয় ধাপে পরিবারপ্রতি ২০ কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে প্রথম ধাপে পরিবারপ্রতি ৪০ কেজি চাল এ খাতে বিতরণ করা হয়েছে।
মঞ্জুরি আদেশ অনুযায়ী সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে দ্বিতীয় ধাপে ভিজিএফ বরাদ্দ পাওয়া উপজেলাগুলো হলো খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, দিঘলীয়া ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মীরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম মহানগরী ও সীতাকুণ্ড, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, সদর, কমলনগর ও রায়পুর, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, সদর ও উজিরপুর, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালী ও ইন্দুরকানি, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।
কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালে দ্বিতীয় ধাপে ভিজিএফ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি উপজেলা হলো রাঙ্গামাটি জেলার সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দীঘিনালা।
প্রতিবছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।