কোরবানির ঈদ উপলক্ষে শাটডাউন শিথিলের প্রজ্ঞাপন জারির পর অনলাইনে দুই দফায় ট্রেনের টিকিট বিক্রি করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, সার্ভার জটিলতার কারণে এ সমস্যা। সমস্যা সমাধান করে বুধবার সকাল থেকে বিক্রি করা হবে টিকিট।
রেল মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার বিকেলেই জানানো হয়েছিল, শিথিল লকডাউনে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করতে মঙ্গলবার বিকেল থেকে অনলাইনে টিকিট ছাড়া হবে। কিন্তু বিকেল চারটার দিকে টিকিট বিক্রি চালু করার চেষ্টা করেও তা পারা যায়নি। জানানো হয়, রাত ৮টা থেকে পাওয়া যাবে টিকিট। কিন্তু তখনও নির্ধারিত সাইট বা অ্যাপে গিয়ে টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল না।
সমস্যার কথা জানিয়ে অনেকে ফোন করেন নিউজবাংলাকে। তারা জানান, টিকিটের জন্য রেলওয়ের নির্ধারিত ওয়েবসাইট বা অ্যাপে গিয়ে টিকিট নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
সোহরাব উদ্দিন নামে একজন বলেন, ‘ভাই, বিকেল থেকে রাতে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ট্রেনের টিকিটের জন্য অনলাইন সাইটে ও অ্যাপে চেষ্টা করেছি। পারলাম না। ওদের সাইটে কী কিছু হয়েছে?’
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নিউজবাংলাকে রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে আজ টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। সার্ভারের সমস্যা সমাধান করে কাল সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।’
বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর ধারণ ক্ষমতার মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিট ইস্যু করা হবে। এক্ষেত্রে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৫ থেকে ১৮ জুলাইয়ের ঈদ যাত্রীদের টিকিট বুধবার সকাল ৮টা থেকে অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে অগ্রিম ব্যবস্থাপনায় ইস্যু করা হবে।
করোনার কারণে কাউন্টার থেকে আন্তনঃগর ট্রেনের কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না বলে আগেই জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আর অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা কোনো টিকিট ফেরতও নেয়া হবে না। সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে আন্তঃনগর ট্রেনে সব স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, কমিউটার ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্টার হতে বিক্রি করা হবে।
আর টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে নেয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা। কালোবাজারির সঙ্গে কোনো কর্মচারী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে ও ট্রেনে যাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। ট্রেনে ওঠা এবং নামায় নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে। কুলি, ট্রলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে আরও জানিয়েছে, ট্রেনের প্রতিটি কোচ ও ইঞ্জিন চলাচলের আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ সকল ট্রেন পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।