ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঠাকুরগাঁওয়ে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা ও একজনকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগে কোনো ধরনের বিচ্যুতির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রোববার রাতে নিউজবাংলার এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান পুলিশ সদরদপ্তরের জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরির্দশক (এইআইজি) সোহেল রানা।
তিনি বলেন, ‘আমলযোগ্য মামলার অভিযোগ গ্রহণ ও গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। সে প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশ দিয়ে থাকে পুলিশ সদরদপ্তর। ঠাকুরগাঁওয়ের বিষয়টি পুলিশ সদরদপ্তর গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে।’
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা রোগীদের খাবারের জন্য বরাদ্দ দেয়া টাকা আত্মসাৎ করে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে শনিবার দুপুরে মামলাটি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাতেই এক নম্বর আসামি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদপত্র জাগো নিউজের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানুকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার আদালত তাকে জামিন দিয়েছে।
মামলার এজাহারেই ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার কথাটি স্বীকার করে নেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, লকডাউনের কারণে খাদ্য সরবরাহে দুই-এক দিন ‘সামান্য ব্যত্যয়’ হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামি হলেন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি রহিম শুভ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের আব্দুল লতিফ লিটু।
সংবাদটিকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, জনরোষ সৃষ্টিকারী মানহানিকর উল্লেখ করে এজাহারে এ-ও দাবি করা হয় যে, এই সংবাদ প্রকাশের উদ্দেশ্য অসৎ। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট ও সুনাম ক্ষুণ্ন করা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার মতো অভিযোগও আনা হয় মামলায়।
এমন দুর্বল অভিযোগ থাকার পরেও তড়িঘড়ি করে আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার এক নম্বর আসামি থানায় এসেছিলেন। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’