বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সজিবের কারখানায় অভিযান শেষ, মেলেনি আর মরদেহ

  •    
  • ১০ জুলাই, ২০২১ ২২:৩৩

দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘দীর্ঘ সময় আগুন জ্বলায় ভবনের দেয়াল ও পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাঁচতলার এক অংশ দেবে গেছে। আমরা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি।’

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সজিব গ্রুপের কারখানা হাশেম ফুডসের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম শেষ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন শনিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার কথা জানান।

এরপর সাড়ে সাতটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সব গাড়ি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল নয়টার পর থেকে ভবনের ছয়তলায় তল্লাশি চালিয়ে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার রাতে পাঁচতলায় তল্লাশি করা হয়েছে। সেখানেও কোনো মরদেহ পাইনি।

‘দীর্ঘ সময় আগুন জ্বলায় ভবনের দেয়াল ও পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাঁচতলার এক অংশ দেবে গেছে। আমরা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি।’

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ কারখানায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়। এ জন্য বিভিন্ন দাহ্য বস্তু ব্যবহার করা হয়। আছে নানা ধরনের কেমিক্যাল। এ কারণে আগুন বারবার নেভানো হলেও তা জ্বলে উঠেছে।

আগুন নেভাতে দেরি হলেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চেষ্টা করেছেন যত দ্রুত সম্ভব এই উদ্ধার অভিযান শেষ করা যায়। এখন ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের কমিটি তদন্ত শুরু করবে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে কারখানাটিতে আগুন লাগার পর শুরুতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরের দিন উদ্ধার করা হয় ৪৯ জনের মরদেহ। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে।

বেশির ভাগের মরদেহই পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। পরিচয় শনাক্তের জন্য স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষা চলছে।

এ ঘটনায় ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন মজুমদার শনিবার বেলা দুইটার দিকে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্যায়ের আট কর্মকর্তার নামে হত্যা মামলা করেন।

মামলার পর তাদের আদালতে তোলা হলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাহমিদা খাতুন প্রত্যেককে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে।

আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ মনে করা হচ্ছে কারখানার প্রতি ফ্লোরে মজুত করা দাহ্য পদার্থ। ছিল বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, যা আগুন আরও ছড়িয়ে যেতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর