নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানার আগুনে মারা যাওয়া ও নিখোঁজদের পরিচয় শনাক্ত করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছুটে আসা স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। নমুনার মধ্যে রয়েছে রক্ত ও মুখের লালা।
এসব নমুনার পরীক্ষা শেষে পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়া মৃতদেহের ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে দ্রুত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় যারা তাদের স্বজনদের খুঁজে পাচ্ছে না বা নিখোঁজ বলে ধারণা করছে তারা এখানে আসলে তাদের নমুনা দিতে পারবেন। পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষা করে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারব।
পরিচয় শনাক্ত করতে কতদিন লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শনাক্ত করার অনেক মাধ্যম আছে। ডিএনএ ছাড়া অন্য মাধ্যমে শনাক্ত করা গেলে হয়ত আজকেও অনেক মরদেহ হস্তান্তর করা হতে পারে৷ আর যেগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে সেসব ক্ষেত্রে আনুমানিক ২৫ দিন বা এরও বেশি লাগতে পারে৷ ’
এর আগে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল নিউজবাংলাকে বলেন, একটা লাশের ডিএনএ পরীক্ষা করতে অন্তত দুই সপ্তাহ প্রয়োজন। আমাদের ফ্রিজার ভালো আছে তিনটা। এসবে অলরেডি ১২টা মরদেহ রাখা হয়েছে৷ এখন ৪৯টা লাশ যদি দুই সপ্তাহ ধরে মর্গে রাখা হয় তাহলে এদেরকে আমরা ফ্রিজারের রাখতে পারবো না। ফলে এ লাশগুলোতে পচন ধরবে। দুর্গন্ধ ছড়াবে।
রূপগঞ্জে কারখানার আগুনে পুড়ে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এরই মধ্যে পুড়ে মারা যাওয়া ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিএনএ ইউনিটের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেবাশীষ জানান, বেশির ভাগ মরদেহই উদ্ধার করা হয়েছে ভবনের চারতলা থেকে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় এখনও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়নি। সেসব তলায় অভিযানের পর মৃতের প্রকৃত সংখ্যা জানানো যাবে।