বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: নিহতদের স্বজনদের সহায়তার ঘোষণা

  •    
  • ৯ জুলাই, ২০২১ ১৭:০০

সহায়তা দেয়া হবে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে। এছাড়া আহত শ্রমিকদের চিকিৎসায়ও সহায়তা দেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কার্টন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের সহায়তা দেবে সরকার।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে নিহতদের স্বজনদের সহায়তার ঘোষণা দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

এতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে সকল শ্রমিক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন তাদের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার অগ্নিকাণ্ডের পরপরই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খোঁজ এবং হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসায় খোঁজ রাখার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।

ওই কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন জানান, এরই মধ্যে পুড়ে মারা যাওয়া ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিএনএ ইউনিটে নমুনা সংগ্রহের জন্য পাঠানো হয়েছে।

দেবাশীষ জানান, বেশির ভাগ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ভবনের চারতলা থেকে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় এখনও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়নি। সেসব তলায় অভিযানের পর মৃতের প্রকৃত সংখ্যা জানানো যাবে।

ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামিম ব্যাপারী।

শামিম ব্যাপারী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় আমাকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। আমরা কাজ করছি। সাত দিনের মধ্যে আমরা রিপোর্ট দিয়ে দেব।’

প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনটি ওই বছরের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হয়। তবে আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও বাধ্যবাধকতার অভাবে যথাযথভাবে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

২০১৩ সালে আবারও সংশোধন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন (সংশোধন) আইনটি পাস হয়। ২০১০ সালের ১৮ অক্টোবর আইনটির একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়।

এই আইনের ১৪ (১) ধারা অনুযায়ী, ফাউন্ডেশনের একটি তহবিল গঠন করা হয়। সরকার এবং মালিকদের অনুদান থেকে পাওয়া অর্থ তহবিলে জমা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর