নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কার্টন কারখানায় লাগা আগুনে ৫২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাষ্ট্রপতি অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে শুক্রবার পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ‘নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
রূপগঞ্জের কার্টন কারখানার আগুনে পুড়ে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীর ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এরই মধ্যে পুড়ে মারা যাওয়া ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিএনএ ইউনিটের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেবাশীষ জানান, বেশির ভাগ মরদেহই উদ্ধার করা হয়েছে ভবনের চারতলা থেকে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় এখনও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়নি। সেসব তলায় অভিযানের পর মৃতের প্রকৃত সংখ্যা জানানো যাবে।
তিনি আরও জানান, জরুরি বহির্গমন পথ বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বের হতে পারেননি। তাদের বেশির ভাগ ভবনের ছাদে উঠে যান।
ভবনটিতে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, এসব পদার্থের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির কার্টন কারখানায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে।
আগুনে বৃহস্পতিবারই তিনজনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার দুপুর নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।