ফেরিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি ও সাধারণ যাত্রী পরিবহন বন্ধ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
নিউজবাংলাকে শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে টুকটাক যে যানবাহন বা সাধারণ মানুষ ফেরি দিয়ে পার হতো, সেটি আজকে থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বা সাধারণ যাত্রী কেউ ফেরি দিয়ে পার হতে পারবেন না।’
তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারঘোষিত জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি, জরুরি পরিষেবার আওতায় থাকা পরিবহন পারাপারে কোনো বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জরুরি পরিষেবার মধ্যে রয়েছে কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যদ্রব্য ও খাদ্যশস্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, করোনাভাইরাসের টিকাদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালস অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর কর্মচারী এবং যানবাহন।
পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান, কার্গো জাহাজ এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ ঠেকাতে ১ জুলাই থেকে সাত দিনের শাটডাউন ঘোষণা করে সরকার। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শাটডাউনের সময়সীমা আরেক দফা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
শাটডাউনে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাইরে এলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে মাঠে আছে পুলিশ।
নিষেধাজ্ঞা অমান্যের ঘটনায় আটক করা হচ্ছে, আদায় করা হচ্ছে জরিমানা। পথে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনী, বিজিবিকেও।