মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্তির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে করোনা মহামারির সময়েই মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দ যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
১৫ ও ১৬ জুলাই অনুষ্ঠেয় দুই দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিবেন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান এবং ইইউসহ বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ ও জোটের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা।
উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভের উদ্যোগে আয়োজিত ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সংযুক্তির মাধ্যমে ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদারের জন্য উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই ক্রমশ সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান। দুই দিনের সম্মেলন সংযুক্তির হলেও সমকালীন প্রসঙ্গ হিসেবে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা হবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সম্মেলনের সাইট বৈঠকগুলোতেও আফগানিস্তান পরিস্থিতিসহ সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার কানেকটিভিটি বাড়ানোই এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য। ওই সম্মেলনের ফাঁকে উজবেকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করছে।’
উজবেক শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানালেও যাচ্ছেন না মোদি। সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সম্মেলনটি দুই দিনের হলেও করোনায় বিধ্বস্ত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক দিনের জন্য উজবেকিস্তানে যাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, উজবেকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি বিমান চলাচলের পাশাপাশি ঢাকায় কনস্যুলেট চালুর প্রস্তাব দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে এ বিষয়গুলো নিয়ে আবার আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ দেয়ার বিষয়টি এগিয়ে নেয়া হতে পারে।