বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে আসা বিভিন্ন সংস্থার বিবৃতি বা প্রতিবেদনগুলো বিশেষ মহলের প্ররোচনায়, বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষ উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিশ্বে কিছু সংস্থা আছে যারা বিবৃতি বিক্রি করে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে মুজিব শতবর্ষে তথ্য অধিদপ্তর সংকলিত ‘অনশ্বর বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন বলেন, ‘বিশ্বে কিছু সংস্থা আছে যারা বিবৃতি বিক্রি করে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখতে পাচ্ছি, কিছু সংস্থা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। এগুলো আসল বিবৃতি বা প্রতিবেদন নয়। বিশেষ মহলের প্ররোচনায় বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এগুলো দিচ্ছেন, মাঝেমাঝে বিবৃতি বিক্রিও করছেন।’
প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানবাধিকার সংস্থার নামে বিবৃতি বিক্রি বা রিপোর্ট প্রকাশ করা মানবাধিকার উন্নয়নে সহায়ক হয় না বরং মানবাধিকার সংরক্ষণের বিরুদ্ধে যায়।’
বাংলাদেশে গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা ভোগ করে তা কোনো উন্নয়নশীল দেশেও নেই বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত দেশ থেকে এ ধরনের বিবৃতি বা রিপোর্ট দেয়া হয়, সেই সমস্ত দেশে গণমাধ্যমের যে পরিমাণ জবাবদিহিতা আছে, আমাদের দেশে সেটি নেই।’
ওই দেশগুলোতে কোনো ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে মোটা অংকের জরিমানা গুণতে হয় জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের জন্য অনেক সময় পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়, যেমন শতবছরের নামী পত্রিকা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের ক্ষেত্রে হয়েছে। অনেক সময় টেলিভিশনের পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়, যেমন বিবিসির ক্ষেত্রে হয়েছে। আমাদের দেশে সেটি হয় না৷’
‘অনশ্বর বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থ প্রকাশের জন্য তথ্য অধিপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ওপর যত লেখনী, কবিতা ও গ্রন্থ প্রকাশিত হবে, আমাদের ইতিহাস তত সমৃদ্ধ হবে, আমাদের নতুন প্রজন্ম সমৃদ্ধ হবে, তারা বঙ্গবন্ধুকে জানবে, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস জানবে।’
এ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব মো. মকবুল হোসেন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এবং পিআইডির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেয়।