মেডিক্যাল সার্ভিসের মতো দেশের বিচার ব্যবস্থাও মানুষের জন্য জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ভার্চুয়াল কোর্ট করাতে দেশের মানুষ বিচার পেয়েছে। মেডিক্যাল সার্ভিসের মতো বিচার ব্যবস্থাও এসেনশিয়াল (অতিপ্রয়োজনীয়) সার্ভিস। ভার্চুয়াল কোর্ট হওয়াতে মানুষ অনেক সুবিধা পেয়েছে।’
বুধবার আপিল বিভাগ ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কিন্তু অসুবিধা হলো নিম্ন আদালতের। নিম্ন আদালতের বিচারককে কোর্টে যেতে হয়। বিচারকের সঙ্গে আদালতের পেশকার, গানম্যান, এমনকি একজন পুলিশ অফিসারকে যেতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আপিল বিভাগের কোর্টের স্টাফরা তো বাসায় বসেই কাজ করছে। কোর্টে কোন স্টাফ আসেনি। সুতরাং ভার্চুয়াল কোর্ট একটা বড় সফলতা।’
বর্তমানে ভার্চুয়াল কোর্ট অনেকটা সফল উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভার্চুয়াল কোর্টের সাকসেস (সফলতা) অনেক বেশি। এ অবস্থার মধ্যে ফিজিক্যাল কোর্ট হলে আপিল বিভাগে বিচার কাজ চলতে পারতো না। কারণ অনেক সিনিয়র আইনজীবীরা আসতেন না। তারা না আসলে আপিল বিভাগ চলতো না। এ অবস্থার মধ্যেও ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগে দুইগুণ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।’
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ সময় সব আদালতও বন্ধ ঘোষণা হয়। পরে ওই বছরের মে মাসে জরুরি ভিত্তিতে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ নামে ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার জন্য একটি আইন করা হয়। এরপর থেকে দেশের উচ্চ আদালতে বেশিরভাগ মামলা ভার্চুয়ালি নিষ্পত্তি হয়েছে।
সরকারের সদিচ্ছা ছিল বলেই ভার্চুয়াল আইন হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভারতে এখনও ভার্চুয়াল আইন হয়নি। সুপ্রিমকোর্টের একটা আদেশে ভারতের ভার্চুয়াল কোর্ট চলে। পাকিস্তানেও হয়নি।’
শুনানি শেষে তিনি আদালত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মূলতবি করেন। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি এবং অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অন্যান্য আইনজীবীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।