করোনাভাইরাসের মতো প্রাণঘাতী মহামারি মোকাবিলায় সহায়তা দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহীদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মালদ্বীপে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে চার মাস সেবা দিয়ে গত ৫ জুলাই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ মেডিক্যাল টিম। করোনা দুর্যোগের সময় মালদ্বীপের পাশে দাঁড়ানোয় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওই টুইটে আব্দুল্লাহ শহীদ বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে চার মাস সেবা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিশেষ মেডিক্যাল টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ। করোনা দুর্যোগের সময় অব্যাহত সহযোগিতা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বিশেষ ধন্যবাদ।’
মালদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিমকে মালদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের পক্ষ থেকে গত ৩ জুলাই বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।
এ সময় বিশেষ মেডিক্যাল টিমের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, ‘নিরলসভাবে কঠোর পরিশ্রম করে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও মালদ্বীপে করোনা মহামারিতে সেবা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আপনারা সক্ষম হয়েছেন। একই সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা সমুন্নত করেছেন।’
বাংলাদেশ মিশন আরও জানায়, মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে টিকা কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য দেশটির সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম মালদ্বীপে যায়। এরপর ৫ জুলাই সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিমটি বাংলাদেশের উদ্দেশে মালদ্বীপ ত্যাগ করে।
বাংলাদেশের মেডিক্যাল টিমকে মালদ্বীপের রাজধানী মালে, পার্শ্ববর্তী হুলে মালে ও বিলিংগিলি দ্বীপে অবস্থিত দুটি হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানকার দুটি সেন্টারে করোনা আক্রান্ত ৬০০ থেকে ৬৫০ জন বাংলাদেশি প্রবাসী ভর্তি ছিলেন। সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিমটি মালদ্বীপে চিকিৎসাসেবাসহ টিকা কার্যক্রমে অংশ নেয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মেডিক্যাল টিমের সদস্যদের জন্য হাইকমিশনের পক্ষ থেকে নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয় এবং হাইকমিশনার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।