বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল শীতল যুদ্ধ ফেরাচ্ছে: চীন

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২১ ১৫:৩৫

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর দেয়া গত শনিবারের বক্তব্যকে উদ্বৃত করে ঢাকায় দেশটির ডেপুটি চিফ অফ মিশন হ্যালং ইয়ান বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল শীতল যুদ্ধের মনোভাব ও প্রতিশোধমূলক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। এতে পরস্পরবিরোধী ব্লকের মধ্যে নিত্যনৈমিত্তিক সংঘর্ষের মানসিকতা ও ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাস ফিরিয়ে আনছে। এটা হলো শীতল যুদ্ধের প্রত্যাবর্তন।’

‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল’ শীতল যুদ্ধ ফিরিয়ে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির ডেপুটি চিফ অফ মিশন হ্যালং ইয়ান।

মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর দেয়া গত শনিবারের বক্তব্যকে উদ্বৃত করে হ্যালং লেখেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল শীতল যুদ্ধের মনোভাব ও প্রতিশোধমূলক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। এতে পরস্পরবিরোধী ব্লকের মধ্যে নিত্যনৈমিত্তিক সংঘর্ষের মানসিকতা ও ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাস ফিরিয়ে আনছে। এটা হলো শীতল যুদ্ধের প্রত্যাবর্তন।’

তিনি আরও লেখেন, জিরোসম গেম একটি শীতল যুদ্ধের মানসিকতা এবং শান্তি, উন্নয়ন এবং সহযোগিতা কামনা করা মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যাওয়া একটি পদক্ষেপ। তাই এই ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল’ ধ্বংসাত্মক ধারণাকে শান্তি ও সমৃদ্ধির খাতিরে ময়লার ভাগাড়ে নিক্ষেপ করা উচিত।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মতে, শীতল যুদ্ধের আধিপত্যের পুরোনো স্বপ্নটি ভবিষ্যৎ জিততে পারে না, তাই সবার উচিত নিজের মতো করে আরও উন্নত বিশ্ব পুনর্গঠনে কাজ করা।

ওয়াং ই বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার এবং বৈশিষ্ট্যযুক্ত এক নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সব দেশকে একত্রে কাজ করা উচিত। সবাইকে সবার সহযোগিতা করা উচিত, যাকে উইন উইন সিচুয়েশন বলে।

নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার দাবি করে ক্ষমতাবান বা সম্রাজ্যবাদী রাজনীতি ও অন্যান্য দেশকে চাপ প্রয়োগের নীতির বিরোধিতা করার আহ্বান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে যোগ দিতে জাপান, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানিয়ে এলেও ঢাকা তা কৌশলে এড়িয়ে চলছে। কারণ, বাংলাদেশের আর এক উন্নয়ন সহযোগী চীন এই জোটকে বেইজিংবিরোধী সামরিক জোট হিসেবে মনে করে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে জাপানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক উদ্যোগ’-এ বাংলাদেশকে আবারও যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের উপপরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড বিগান বাংলাদেশ সফরে এসেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে এই জোটে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রও এই জোটের প্রাথমিক সদস্য। এ ছাড়া জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন এই জোটে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকেদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাকে এই জোটে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক’ সামরিক জোটের সদস্য হতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে অনীহা দেখিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের পর নিজেদের কোনো শত্রু নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকা আপাতত উন্নয়ন, জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা, টেকসই বাসস্থান ও বস্ত্রের নিশ্চয়তায় অধিক মনোনিবেশ করতে চায়।

তখন মোমেন বলেন, ‘হোয়াইট হাউসের একজন ডেপুটি সেক্রেটারি আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে বলেন, ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতে চান।

‘মার্কিন ওই কর্মকর্তা আমাকে বলেন, তারা ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে সিকিউরিটি নিয়ে একটা আঁতাত করতে চান। নিরাপত্তার স্বার্থেই বাংলাদেশের সেই জোটে যোগ দেয়া উচিত বলেও তিনি আমাকে বলেন। আমি তাকে বলেছি, দেখেন আমরা এখন সিকিউরিটি নিয়ে ভাবছি না। আমরা এখন আছি উন্নয়ন নিয়ে।’

এ বিভাগের আরো খবর