চলমান শাটডাউনের চতুর্থ দিনে করোনার সংক্রমণরোধী বিধি-নিষেধ অমান্য করায় সারা দেশে র্যাবের সহায়তায় পরিচালিত ৫৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪৩৮ জনকে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেছে।
রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযানের এই তথ্য জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।
তিনি বলেন, লকডাউনে বিধিনিষেধ কার্যকর এবং জনসচেতনতা বাড়াতে দেশব্যাপী মাঠে আছে র্যাব। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে শনিবার দেশব্যাপী ১৮৭টি টহল ও ২১১টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
এএসপি ইমরান জানান, বিধিনিষেধ অমান্য করায় শনিবার দেশব্যাপী পরিচালিত ৫৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪৩৮ জনকে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে বিনামূল্যে প্রায় ৩ হাজার মাস্ক বিতরণ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি ৩০ জন অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি ৩০ জন অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয় র্যাব। ছবি: নিউজবাংলা
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় র্যাবের মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। র্যাব-৩ এর সহযোগিতায় পলাশ কুমার বসু বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কাকরাইল মোড়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, অনেকেই ঘর থেকে বেরিয়েছেন, কেউ আত্মীয়ের বাসায় খাবার দেওয়ার জন্য, আবার কেউ বা যাচ্ছেন বসের বাসায় গৃহস্থালির কাজ করার নাম করে। এমন ১৬ জনকে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত করোনার সংক্রমণরোধী বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন পরিমাণে মোট ৭ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা শেষে ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘এবার সরকার যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে তা কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য। হয়তো লকডাউনের কারণে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে কিন্তু এটার দীর্ঘমেয়াদী ফল রয়েছে। ব্যক্তি পরিবার, সমাজ, দেশকে করোনা থেকে সুরক্ষার দিকটা বিবেচনায় আমরা কঠোরভাবে সরকারি বিধিনিষেধ পরিপালনে চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এবার সরকারি বিধিনিষেধ পরিপালনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একান্তই জরুরি ও অত্যাবশ্যক কারণ ছাড়া বা লকডাউনের বিধিনিষেধের নির্দেশনার আওতার বাইরে যারা রয়েছেন তারা শুধু বের হতে পারছেন। এর বাইরে আমরা কিন্তু চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যাদের কারণ যথোপযুক্ত মনে হচ্ছে না তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে।’