বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হন্তারক ভালোবাসা

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২১ ২৩:৫২

নারায়ণগঞ্জে অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা মরদেহটি কদমতলী থেকে নিখোঁজ নাসরিনের। বাসা থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণের পর হত্যা করা হয় তাকে। পরে মরদেহ কাঞ্চনব্রিজ থেকে ফেলা হয় শীতলক্ষ্যায়।

নাসরিন আক্তারের সঙ্গে আবদুল হাইয়ের সম্পর্ক বেশ কয়েক বছরের। সম্প্রতি হাইয়ের সন্দেহ হয়, তাকে ফাঁকি দিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাসরিন।

সন্দেহ থেকেই ৩৬ বছর বয়সী ওই নারীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন হাই। সেই পরিকল্পনা অনুসারে, ১৮ মে সন্ধ্যায় নাসরিনকে নিয়ে একটি প্রাইভেট কারে বেড়াতে বের হন তিনি। ঢাকা শহরের নানা পথ ঘুরে নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চনব্রিজ এলাকায় পৌঁছেন তারা।

সেখানে গলায় গামছা পেঁচিয়ে নাসরিনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মরদেহ ব্রিজ দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেন ৫২ বছর বয়সী বিবাহিত হাই। আর এ পুরো ঘটনায় তাকে সহযোগিতা করেন গাড়ির চালক রানা।

মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর পরই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাসরিনের মা। পরে ২৪ জুন মামলা করেন তিনি।

এর মধ্যে ২১ মে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা থেকে নাসরিনের মরদেহ উদ্ধার করে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করে ফেলা হয়।

পুরো ঘটনা পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়, ১ জুলাই মধ্যরাতে স্থানীয় ফার্মাসির দোকানি আবদুল হাই এবং মাইক্রোবাস চালক রানাকে গ্রেপ্তারের পর। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এরই মধ্যে ওই দুই ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপ পরিদর্শক লালবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, দুজন সুকৌশলে ভিকটিম নাসরিনকে প্রাইভেটকারে তুলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরায়। পরবর্তীতে তারা ভিকটিমকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কাঞ্চনব্রিজ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নাসরিনকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় তারা।

লালবুর রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নাসরিনের মরদেহ শীতলক্ষ্যায় ফেলা হয়েছে। ১ জুলাই রাতেই নদীর আশপাশের থানাগুলোতে যোগাযোগ করে জানা যায়, গত ২১ মে নৌ পুলিশের সহায়তায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অজ্ঞাতনামা একজন নারী মৃতদেহ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায়ও হত্যা মামলা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাত মরদেহ নাসরিনক হিসেবে দাফন করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, রূপগঞ্জ থানার হেফাজতে থাকা ভিকটিমের মরদেহের ছবি, ব্যবহৃত ঘড়ি, ব্রেসলেট ও আংটি দেখে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেন।

পারিবারিক কলহের কারণে ভিকটিম নাছরিনের সঙ্গে তার স্বামীর বিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকে ভিকটিম তার নবম শ্র্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে কদমতলী থানার শনির আখড়া দনিয়া গোয়াল বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এ বিভাগের আরো খবর