রাজধানীতে শাটডাউনের তৃতীয় দিনে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সড়ক পরিবহন আইনে জরিমানা করা হয়েছে ১৯ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া মোবাইল কোর্ট জরিমানা করেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা।
এ সময় ৬২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম।
তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ না মানায় মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬২১ জনকে। এ ছাড়া মোবাইল কোর্টে ৩৪৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা।
এর আগে শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয় ২০৮ জনকে।
এ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশ ২১৯টি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এসব মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিকে দ্বিতীয় দিনে ডিএমপির অর্ডিন্যান্সে ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক পুলিশের ৮টি বিভাগে ৬৮টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে, যা পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন হিসেবে।
এ সময়ে জরুরি পরিষেবার দপ্তর ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস। সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা যারা মানছে না, তাদের পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে শাটডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার প্রায় ৬০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি। মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয় ২১২ জনকে। মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ৩১৯ জনকে।
শাটডাউন শুরুর আগের দিন গত বুধবার মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘কেউ অকারণে বের হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব, প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ব্যবস্থা নেব। অকারণে বের হলেই আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। যানবাহন ব্যবহার করলে মোটরযান আইনে ব্যবস্থা নেব।’
বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের শাটডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগেরবার করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ চালু থাকার সময়ও সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গত বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়ন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।’