প্রবাসী শ্রমিকদের পৃথকভাবে টিকা নিবন্ধন শুরু হয়েছে শুক্রবার। সারা দেশে নির্ধারিত ৫৩টি কেন্দ্রে হাজির হয়ে এখন নিবন্ধন করা যাচ্ছে। এ ছাড়া নিবন্ধনে ব্যবহার করা যাচ্ছে ‘আমি প্রবাসী’ ও ‘সুরক্ষা’ এ্যাপ।
টিকার জন্য নিবন্ধন শেষে মোবাইল ম্যাসেজ পাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রবাসী শ্রমিকদের অহেতুক ছোটাছুটি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)।
বিএমইটি জানায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার জন্য এখন প্রবাসী শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাবেন। তাদের ক্ষেত্রে বয়স ভিত্তিক নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তবে বিএমইটির অধীনে নিবন্ধন করে তারপরই টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে।
কোভিড-১৯ টিকা প্রদান ও সনদ দেয়া কার্যক্রম সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড। সেজন্য নিবন্ধিত হয়ে টিকা কেন্দ্র ও তারিখ সংক্রান্ত ম্যাসেজ না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশগামী কর্মীদের টিকা পাওয়ার সুযোগ নেই।
প্রবাসী শ্রমিকরা গত বৃহস্পতিবার ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা না পেয়ে বিক্ষোভ করেন। এরপর নিবন্ধন সহজ করতে উদ্যোগ নিয়েছে বিএমইটি।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সারা দেশে ৫৩টি কেন্দ্রে প্রবাসী শ্রমিকদের নিবন্ধন হবে। এছাড়া সারা দেশে বিএমইটি’র যেসব কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে নয়টি এবং নারায়ণগঞ্জের ইন্সটিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজিতে গেলেও নিবন্ধন করা যাবে।
দেশের ৪২টি জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস ও নারায়ণগঞ্জ বিআইএমটিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে হাজির হয়ে নিবন্ধন করা যাচ্ছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, মেহেরপুর, শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে অবস্থিত নয়টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) নিবন্ধন চলছে।
বিভিন্ন কেন্দ্রে নিবন্ধন করা যাবে সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এছাড়া অনলাইনে ‘আমি প্রবাসী’ এ্যাপ’র মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে।
বিএমইটির ডাটাবেজে নিবন্ধিত কর্মীরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেতে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে জরুরিভাবে টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধন সফল হলে মোবাইল ম্যাসেজে টিকা সেন্টার ও তারিখ জানা যাবে।
ঢাকার সাতটি হাসপাতালকে শ্রমিকদের টিকা কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।