রাজধানীতে শাটডাউনের প্রথম দিনে বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে আটকের সংখ্যা বেড়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৪৯৭ জন আটকের তথ্য জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পরে তা বাড়িয়ে ৫৫০ জন বলে জানায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ।
ডিএমপির পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, ডিএমপি অর্ডিন্যান্সে ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক পুলিশের আটটি বিভাগে ২৭৪ গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইনে এসব মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা।
তিনি আরও জানান, রাজধানীতে ডিএমপি পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিধি-নিষেধ অমান্যের দায়ে ২১২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ৩৯১ জনকে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে, যা পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন হিসেবে। এ সময়ে জরুরি পরিষেবার দপ্তর ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস। জরুরি পণ্যবাহী যানও সচল থাকবে এ সময়ে।
সরকারি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাস্তায় চলাচল করায় আটক ও জরিমানা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন দুপুরে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্যরা মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে আসায় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।’
এর আগে বুধবার শাটডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছিলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘কেউ অকারণে বের হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব, প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ব্যবস্থা নেব। অকারণে বের হলেই আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। যানবাহন ব্যবহার করলে মোটরযান আইনে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারা অনুযায়ী কেউ বাইরে বের হলে জিজ্ঞাসাবাদ করব, তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হবে, যেটি আমরা এর আগে কখনো করিনি।
‘এবারে আমরা এই অবস্থান পর্যন্ত যাব। আপনারা এমনও শুনতে পারেন ডিএমপি প্রথম দিন পাঁচ হাজার লোক গ্রেপ্তার করেছে। এবার আমরা অত্যন্ত শক্ত অবস্থায় থাকব।’
বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের শাটডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগেরবার করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ চালু থাকার সময়ও সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়ন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।’