করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলা সাত দিনের শাটডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রথম দিন থেকেই কঠোর অবস্থানে সরকার। মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই শাটডাউনে মসজিদে মুসল্লি কমে গেছে আগের তুলনায়। ফলে যারা আসছেন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আসছেন। কিছু মানুষ তো আছে, যারা এ বিষয়ে কিছুটা হেলাফেলা করেন। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বুধবার স্বাস্থ্যবিধি-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। যেখানে মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়েও বলা হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে কেবল ফরজ নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়া যাবে। সুন্নতসহ অন্যান্য নামাজ পড়তে হবে ঘরে।
পরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে ৯টি নির্দেশনা দেয়া হয়।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধিকে। প্রতি নামাজের আগে জীবাণুনাশক দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
বায়তুল মোকাররমের ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘মসজিদে যারা আসছেন, তাদের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসছেন। সিংহভাগই মাস্ক ব্যবহার করছেন। আর কিছু মানুষ তো আছে যারা এ বিষয়ে কিছুটা হেলাফেলা করেন। আমরা তাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আসার পরামর্শ দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘মার্কেট বন্ধ থাকলে এমনিতেই মসজিদে মুসল্লি কম থাকে। পুরো মসজিদে দুই থেকে তিন কাতার হয়। মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি নামাজের আগেই জীবাণুনাশক নিয়ে পুরো মসজিদ পরিষ্কার করা হচ্ছে।’
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, মসজিদে ঢোকার মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের অজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন উল্লেখ করে নয় দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয় তার সবগুলোই পরিপালন করে নামাজ আদায় করা হচ্ছে। মুসল্লিরা কীভাবে নামাজে দাঁড়াবেন, সে জন্য এক কাতার খালি রেখে সবুজ চিহ্ন দেয়া হয়েছে, যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানো যায়।’