বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চান প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২১ ১৯:২২

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও উচ্চতায় নিতে নতুন পথ খুঁজে পেতে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।’

চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

এ সময় আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করায় চীন ও সিপিসিকে কৃতজ্ঞতা জানান সরকারপ্রধান।

ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ চীনকে বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবেই বিবেচনা করে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে টিকা উপহার এবং আওয়ামী লীগকে সিপিসির স্বাস্থ্যসামগ্রী পাঠানোয় চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

‘বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও উচ্চতায় নিতে নতুন পথ খুঁজে পেতে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে আমরা আগ্রহী। আমি আত্মবিশ্বাসী, সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের হৃদ্যতাপূর্ণ এ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ-চীন এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে যেসব সিপিসি নেতা কাজ করেছেন, আজকের এই শুভ মুহূর্তে তাদের অবদানকে স্মরণ করছি।

‘দুই দেশের মানুষের এই সম্পর্ক সহস্রাব্দ ধরেই চলে আসছে বিশেষ করে দক্ষিণ সিল্ক রুট দিয়ে, যা দুই প্রাচীন জনপদের মধ্যে জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্য সম্পর্ককে বেগবান করেছে।’

এ সময় বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের বিষয়টিও সামনে আনেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে একজন তরুণ রাজনীতিক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক চীন সফর তৎকালীন সিপিসি নেতাদের সঙ্গে মতামত বিনিময়ের আরও সুযোগ তৈরি করে।

‘সিপিসির নেতৃত্বে উন্নত দেশ গঠনে চীনাদের উৎসাহ, প্রতিশ্রুতি ও গভীর বিশ্বাসের কথা বঙ্গবন্ধু তার আমার দেখা নয়াচীন বইতে লিপিবদ্ধ করেছেন।’

চীনের উন্নয়নের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তার সুবিজ্ঞ নীতি এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশটিকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

‘মাত্র কয়েক দশকে চীন মহাকাশ থেকে ন্যানো প্রযুক্তি, রোবোটিক্স থেকে এভিওনিক্স খাতে আশ্চর্যজনক এবং অনুপ্রেরণাদায়ী উন্নতি সাধন করেছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিশ্বমানের পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করছে।’

তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের এই ছোঁয়া চীনের প্রতিকূল এলাকার সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছেছে। একইভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মুক্ত ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়। বর্তমানে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তার “সোনার বাংলা” গঠনের স্বপ্নধারণ করেই এগিয়ে চলেছে।

‘আমাদের আকাঙ্ক্ষা, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের জীবনে সমৃদ্ধি নিয়ে আসার। আমি বিশ্বাস করি, দুই দলের মধ্যে বৃহৎ সহযোগিতা আমাদের নাগরিকদের জন্য আরও উন্নতি বয়ে আনবে।’

এ বিভাগের আরো খবর