করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কমিউনিটিভিত্তিক কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারে বাংলাদশকে আরও ৯.৮ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাংক (প্রায় ৯০ কোটি টাকা) সহায়তা হিসেবে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সুইজারল্যান্ড।
স্থানীয় জনগণকে অতিমারির বিস্তার রোধে সহায়তা এবং আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে ওই তহবিল ব্যয় করা হবে। এই উদ্দেশে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে এবং বাংলাদেশ সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ড কাজ করে যাবে।
দেশটির ঢাকা দূতাবাস তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দেয়া পোস্টের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার জানায়, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশকে অতিমারী ও কোভিড-১৯ এর সাম্প্রতিক ঢেউ মোকাবিলায় আরও ৯.৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক অর্থসহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ব্র্যাক, রূপান্তর(খুলনা), আইডীই, সুইস-রেডক্রস, সেভদাচিলড্রেন এবং হেক্স/ইপিইয়ার-এর সহযোগিতায় ইউরোপের দেশটি এই অতিমারীর বিস্তার কমাতে এবং আর্থসামাজিক অবস্থা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে যাচ্ছে।
এদিকে, ঢাকায় সুইস দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গতবছরের এপ্রিলে এই অতিমারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং সম্মুখসারির সংস্থাগুলোকে সহায়তা করার জন্য সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশজুড়ে ২০টি প্রকল্পে ১৭ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাংক (প্রায় ১৬০ কোটি টাকা) অর্থসহায়তা করেছে।
এই কার্যক্রমগুলো অতিমারির নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে সময়োচিত প্রতিকার দিতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। সুইস সহযোগীতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্পর্কে সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। ১০ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ এর উন্নত চিকিৎসার জন্য টেলিমেডিসিন পরিষেবা পেয়েছে।
১ লাখ ৩০ হাজার নিন্মবিত্ত মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে নগদ অর্থসহায়তা এবং ৬০ হাজার জনকে পুষ্টিকর খাবার দেয়া হয়। এছাড়া, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়াদের মনস্তাত্ত্বিক এবং আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য চারটি হেল্পলাইন স্থাপন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি সুইস দূতাবাস উল্লেখ করে, সবার জন্য আগামী দিনগুলোতে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করাই হবে এই অভূতপূর্ব বৈশ্বিক সঙ্কট থেকে মুক্তির একটি অন্যতম চাবিকাঠি। কোভ্যাক্স উদ্যোগে অতিরিক্ত ৩০০ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাংক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল কাউন্সিল গতকাল এই বৈশ্বিক উদ্যোগে চল্লিশ লক্ষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও বেশি পরিমাণে টিকা দ্রুত সরবরাহে সাহায্য করবে।