বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জঙ্গিবাদ এখন নিয়ন্ত্রণে: সিটিটিসি প্রধান

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২১ ১৭:২২

সিসিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নাশকতামূলক কাজে জঙ্গিদের এই মুহূর্তে সক্ষমতা নেই বললেই চলে। আমরা জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিবাদ এখন নিয়ন্ত্রণে। কঠোর অভিযানের পাশাপাশি জঙ্গিবিরোধী জনসচেতনতা বাড়াতে মতবিনিময় সভাসহ ১৭৪টি প্রোগ্রাম করা হয়েছে।

হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর পাঁচ বছরে ২৩টি ‘হাইরিস্ক’ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি)। এতে নিহত হয়েছেন ২৩ জঙ্গি।

সিসিটিসির প্রধান পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর ‘হার্ড অ্যান্ড সফট অ্যাপ্রোচ’-এর মাধ্যমে দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিসিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নাশকতামূলক কাজে জঙ্গিদের এই মুহূর্তে সক্ষমতা নেই বললেই চলে। আমরা জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিবাদ এখন নিয়ন্ত্রণে। কঠোর অভিযানের পাশাপাশি জঙ্গিবিরোধী জনসচেতনতা বাড়াতে মতবিনিময় সভাসহ ১৭৪টি প্রোগ্রাম করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ৩৯ হাজার ৪০০ জনকে প্রত্যক্ষভাবে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলা চালান জঙ্গিরা। পরদিন সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে পুলিশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন থান্ডারবোল্ট শুরু হয়। এতে পাঁচ অস্ত্রধারী জঙ্গি মারা যান।

এর আগে হোলি আর্টিজানে জঙ্গিরা ২০ জনকে হত্যা করেন। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালিয়ান, সাতজন জাপানিজ এবং একজন ভারতীয় ছিলেন। এ ছাড়া দুজন বাংলাদেশি ও একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক মারা যান। অভিযানে ৩২ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জঙ্গিদের প্রতিহত করতে গিয়ে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা মারা গেছেন।

সিটিটিসির প্রধান জানান, হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়েছিল। পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির তদন্ত সম্পন্ন করেন। নৃশংস এ ঘটনায় ২১ জন আসামির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ১৩ জন আসামি বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হন।

ঘটনার সময় পরিচালিত অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত হন পাঁচজন। তারা হলেন- নিবরাস ইসলাম, মীর মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মো. খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

পরে পুলিশের পৃথক অভিযানে নিহত হন আট আসামি। তারা হলেন- তামিম আহমেদ চৌধুরী, মুরুল ইসলাম মান, সরোয়ার জাহান মানিক, তানভীর কাদেরী, বাশারুজ্জামান চকলেট, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান, রায়হানুল কবির রায়হান ওরফে তারেক।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হোলি আর্টিজানে নৃশংস হামলার পর গত পাঁচ বছরে সিটিটিসি একের পর এক সফল অভিযানের মাধ্যমে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডকে কঠোরভাবে প্রতিহত করেছে। সিটিটিসির ২৩টি হাইরিস্ক অপারেশনে ৬৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হন।’

হোলি আর্টিজান মামলায় আদালতে খালাস পাওয়া মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘তদন্তে কোনো গাফিলতি ছিল না। পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ সহকারে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়। আসামির খালাস পাওয়ার বিষয় একান্ত আদালতের।

নব্য জেএমবি প্রসঙ্গে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘জেএমবির কয়েকজন সদস্যসহ কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী বাংলাদেশে নব্য জেএমবি তৈরি করেন। তারা বিভিন্ন সময়ে নিজেদের আইএস দাবি করলেও আমরা এমন কোনো প্রমাণ পাইনি। সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার কাজ প্রক্রিয়াধীন।’

এ বিভাগের আরো খবর