শাটডাউনের প্রথম দিন সকালে যাত্রীশূন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট। তবে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক আছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শাটডাউন বাস্তবায়নে মুন্সিগঞ্জে মোতায়েন করা হয়েছে তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী, দুই প্লাটুন বিজিবিসহ জেলা পুলিশ।
জেলার লৌহজং-এ শিমুলিয়া ঘাটের দিকে বসানো হয়েছে দুইটি চেকপোস্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটের দিকে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরি দিয়ে শুধু পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পার হচ্ছে। সকাল থেকে ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি নেই।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, শিমুলিয়ামুখী গাড়ি রোধ করা হচ্ছে তবে মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রী নেই বললেই চলে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবনাথ জানান, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই সরকারি প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে জেলা পুলিশ কাজ করছে। মাইকিং করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নামানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল।
তিনি আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গ্রাম পর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়ন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদ ভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
এ ছাড়া রোভারদের বাজার মনিটরিংয়ের কাজে লাগানো যায় কি না তাও ভাবা হচ্ছে।
বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরিতে শুধু নদী পার হচ্ছে পণ্যবাহী পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়িএদিকে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল জানান, সকাল থেকে এই ঘাটে যাত্রীর কোনো চাপ নেই। ১৪টি ফেরিতে পণ্যবাহী পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি নদী পার হচ্ছে।
ঘাটের টিকিট কাউন্টারে কর্মরত নজরুল ইসলাম জানান, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা নয়টি টিকিট বিক্রি করেছেন।