শাটডাউনের প্রথম দিন সকালে প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। সকাল থেকেই মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে টহরে আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জরুরি ও পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি এই মহাসড়কে নজরদারিতে আছে র্যাব ও বিজিবি। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও সড়কে অবস্থান করছেন।
সরেজমিনে সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় দেখা গেল, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা সব ধরনের ছোট যান ফিরিয়ে দিচ্ছেন। শিমরাইল এলাকায় রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের নজরদারি। সেখানেও রিকশা ছাড়া কোনো যান চলাচল করছে না।
একই অবস্থা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাব ও গাউছিয়া এলাকায়। সেখানেও পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে সড়কের একপাশ আটকে দিয়েছে। রাস্তায় যারা বের হয়েছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তবে পরিবহন সংকট থাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিকরা পড়েছেন দুর্ভোগে। অনেকে পণ্যবাহী যানে উঠে, অনেকে হেটে কাজে যাচ্ছেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট আছে। বিনা কারণে যারা রাস্তায় বের হচ্ছেন, তাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যদি কোনো যানবাহন শাটডাউন অমান্য করে যাত্রীসহ রাস্তায় নামে, তাহলে মামলা দেয়া হবে।
মহাসড়ক অবস্থান নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করছেন।
নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, দুইটি মহাসড়কসহ জেলা ও উপজেলা এলাকায় ১৮ জন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে। জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন ৩ প্ল্যাটুন বিজিবি সদস্য। পাশাপাশি সেনা সদস্যদের পাঁচটি দল সকাল ১০টার পর থেকে সড়কে টহল দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সড়ক-মহাসড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি করছি। কোথাও জনসমাগম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে আমরা মানুষকে বুঝিয়ে ঘরে চলে যেতে বলছি। যারা শাটডাউন মানছে না আমরা তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসছি। সকাল ৬টা থেকে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’